সাগরদিঘিতে আগাম দোল লাল-সবুজ আবিরে, জয়ী বাম সমর্থিত প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস

২২ মাসে প্রথম হারের মুখ দেখল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতেও উড়ল সবুজ আবির। তবে তার সঙ্গে মিশে গেল লাল আবিরও। কারণ, শাসক তৃণমূলকে হারিয়ে জয় পেয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। কংগ্রেস শিবিরে অক্সিজেন জুগিয়ে বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। এদিন ১৬ রাউন্ড গণনা শেষে বায়রন বিশ্বাসকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। শাসকদলের পাশাপাশি এই উপনির্বাচনে ধাক্কা গেরুয়া শিবিরেরও।  অনেক পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। আগের নির্বাচনে তারা দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল। কংগ্রেসের এই জয়ের পরই উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে হাতশিবিরে।

২০২১ সালে বিপুল জয়ের পর গত দেড় বছরের কিছু বেশি সময় ধরে এটাই দেখে এসেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল। প্রতিটি উপনির্বাচনেই সবুজ আবির উড়েছে। বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের গণনাপর্বের প্রথম রাউন্ড থেকেই গণনা যত এগিয়েছে, ততই তলিয়ে গিয়েছে শাসকদলের জয়ের সম্ভাবনা। সাগরদিঘিতে এসেই যেন ডুবল উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের বিজয়রথ। সাগরদিঘির ফলাফল নিয়ে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘এই ফলাফল প্রমাণ করে, কংগ্রেস এখনও ফুরিয়ে যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজিত নন। মানুষ নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পেরেছেন। এর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ধন্যবাদ।’ যদিও তৃণমূল বায়রন বিশ্বাসের এই জয়কে ‘অনৈতিক’ বলে মনে করছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের প্রতিক্রিয়া, ‘নীতি-আদর্শহীন অনৈতিক জোট। তার আবার জয়!’

উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন (Sagardighi By election) হয়েছে গত সোমবার। তৃণমূলের তরফে প্রথমে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নাম ভাসলেও শেষ পর্যন্ত দেবাশিস বন্দ্য়োপাধ্যায়কে প্রার্থীপদে দাঁড় করানো হয়। বামেরা এবার প্রার্থী দেয়নি। কংগ্রেসের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকেই সমর্থন দিয়েছিলেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমরা। আর সেই প্রার্থীই তৃণমূল, বিজেপিকে পরাস্ত করে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলল নিঃসন্দেহে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × five =