চিত্তুর: কথায় আছে, ‘এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার’। এই বাক্যে বিশ্বাসী হয়েই সম্ভবত নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ে করলেন শিক্ষক। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে সেই শিক্ষক বিবাহিত। তাঁর সন্তানও আছে।
ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুরে। যে শিক্ষকেক নাগরিক গড়ার কারিগর মানা হয়, তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে নাবালিকা ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার। জানা গিয়েছে, দ্বাদশের ওই ছাত্রী ১৭ বছরের। অভিযোগ, স্কুল থেকেই ভুল বুঝিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। এর পর এক মন্দিরে ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।চিত্তুর জেলার গঙ্গাভারাম মণ্ডল এলাকায় বিয়ে হয়। বিয়ের পর ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন ওই শিক্ষক। বিয়ের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও বিয়ের পরই শিক্ষকের আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন ওই ছাত্রী। এর পর তিনি গোটা ঘটনার কথা জানা নিজের বাবা-মাকে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত শিক্ষককে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর জেলায় একটি গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করতেন ৩৩ বছরের এক যুবক। তিনি বিবাবিত এবং তাঁর একটি বাচ্চা মেয়েও রয়েছে। কিন্তু ওই শিক্ষক স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করেন বলে অভিযোগ। স্কুলে শিক্ষকতার সুযোগ নিয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা বলেন। হাজারো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৭ বছরের ওই ছাত্রীকে বিয়ের জন্য রাজি করান বলে অভিযোগ। বুধবার ওই ছাত্রীর ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়। এর পরই ওই ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান শিক্ষক। এক মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন।
ঘটনা নিয়ে সুধারক রেড্ডি নামের এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, ‘ছাত্রীকে মিথ্যার জালে জড়িয়ে বিয়েতে রাজি করায় শিক্ষক। এর পর তাঁকে এক মন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে বিয়ে করেন দুজনে। বিয়ের পরই ছাত্রী দেখেন শিক্ষকের আচরণে পরিবর্তন। তখন তিনি নিজের বাবা-মাকে ঘটনার কথা জানান। এর পর নাবালিকার বাবা-মা গঙ্গাভারাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।’ ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।