বেহালার ঘটনা থেকে শিক্ষা, কোন্নগরে জিটি রোডের পাশে স্কুলের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদন, কোন্নগর: প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই এক বিল্ডিং থেকে আর এক বিল্ডিং যাতায়াত করেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়া সকলেই। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে কলকাতার বেহালার ভয়াবহ দুর্ঘটনা নতুন করে চোখ খুলে দিয়েছে সবার। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। ব্যস্ততম জিটি রোডের পাশের স্কুলগুলির সামনে বসল পুলিশি নিরাপত্তা। তবে কতদিন থাকবে সেই নিরাপত্তা, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক থেকে অভিভাবক সকলেই।
হুগলির কোন্নগরের হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন দুটো আলাদা বিল্ডিংয়ে হয়। দু’টি বিল্ডিং আবার পাশাপাশি নয়, সেগুলি ব্যস্ততম জিটি রোডের দুই প্রান্তে অবস্থিত। ফলত ক্লাস করা থেকে শুরু করে স্কুলের একাধিক কাজকর্ম করার জন্য ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলকেই প্রতিনিয়ত পার হতে হয় জিটি রোড। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়েই এইভাবে স্কুল চলছে। কিন্তু বেহালার বড়িশা হাই স্কুলের ঘটনায় টনক নড়েছে প্রশাসনের।
স্কুলের শিক্ষিকাদের অভিযোগ, ২০১৭ সালে ক্লাস নিতে যাওয়ার সময় রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন পাপিয়া নন্দী নামে স্কুলেরই এক শিক্ষিকা। ওই দুর্ঘটনার পর তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি। হাতে ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটতে হয়। তারপরেও সমস্যার সমাধানে কোনওরকম পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই আহত শিক্ষিকা পাপিয়া নন্দী জানান, প্রশাসনের কাছে আবেদন শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে ছাত্রী সকলেরই নিরাপত্তার দিকে নজর দিক। আগে তাও একজন মহিলা পুলিশ কর্মী থাকতেন, তবে তা কোনও দিনই স্থায়ী হয়নি। এর ফলে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে পড়ুয়া বা শিক্ষক যে কেউ আবার বিপদে পড়তে পারেন বলে তাঁর আশঙ্কা। শুক্রবারের বড়িশা হাইস্কুলের ঘটনার পর চন্দননগর কমিশনারেটের তরফ থেকে গার্ডরেল এবং ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে কোন্নগরের হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − 4 =