লাফাচ্ছে, ভেংচি কাটছে, দৌড়চ্ছে, শীতের চিড়িয়াখানায় সেলিব্রিটি ‘বাবু’

কলকাতা: স্টাইল তার ঘ্যামা। হাঁটা-চলা। ভেংচি কাটুক কি মেজাজ বিগড়ে গেলে দাঁত খিঁচিয়ে ঢিল ছুঁড়ুক, তার কোনও কিছুতেই আপত্তি নেই দর্শকদের। আলিপুর চিড়িয়াখানায় মধ্যমণি শিম্পাঞ্জি বাবু-ই। (chimpanzee ‘Babu’ )। সে যখন লাফায় দর্শকদের মধ্যে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। বাবু খাঁচা থেকে না বেরলে সকলে অপেক্ষা করেন। আবার খাঁচায় ঢুকে পড়লে সবাই হতাশ হয়ে যান। প্রতিবারের মতো এবারেও একই রকমের জনপ্রিয়তা দেখা গেল বাবুকে কেন্দ্র করে। চিড়িয়াখানার এক কর্মী বলেন, “সব চিড়িয়াখানায় মানুষ যায় মূলত বাঘ, সিংহ, জিরাফ, হাতি এসব দেখতে। এখানেও তাই দেখতে মানুষ আসেন। কিন্তু বাবুর ব্যাপার আলাদা। এখানে বাবু তারকা। আর দর্শকরা তাঁর ফ্যান। আর এই তালিকায় আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষই রয়েছে। এখানে অন্য কোনও জন্তুকে দেখা মিস হলেও হতে পারে কিন্তু বাবুকে না দেখে কেউ চিড়িয়াখানা ছাড়বে না।”

তমলুক থেকে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন এক বধূ। বললেন, বাবুর কাণ্ডকারখানা আমার বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছে। একই কথা অন্য দের মুখেও। বাবুকে দেখার জন্য দর্শকদের উত্সাহই এখানে বলে দেয়, সে কোনও সেলিব্রিটির চেয়ে কম নয়। তাছাড়া এখন থেকে নয়, গত কয়েক বছর ধরেই বাবু সকলের প্রিয়। এবছরই অক্টোবরের শেষের দিকে ছিল বাবুর জন্মদিন। রীতিমতো ধুমধাম করে তখন শিম্পাঞ্জির জন্মদিন পালন হয়েছিল। এসেছিলেন মীর, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও।

১৯৯৮ সালে চেন্নাইয়ের একটি জুলজিক্যাল পার্ক থেকে আনা হয়েছিল ১০ বছরের বাবুকে। তারপর থেকেই তার ঘরবাড়ি আলিপুর চিড়িয়াখানা। বাবুকে দত্তক নেওয়ায় তার জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত ও অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক।ছিলেন মীর ও অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও। শুধু যে বাবুকে দর্শকরা পছন্দ করেন তা নয়, লোকজন পছন্দ করে সে-ও। করোনার জেরে লকডাউনে চিড়িয়াখানা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সে সময় কিন্তু লোকজনের দেখা না পেয়ে মুষড়ে পড়েছিল বাবু-ও। তবে এবার লোকজনের মুখে হাসি দেখে দিব্যি রঙ্গ-তামাশায় মেতেছে-সেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − four =