আসন্ন মরশুমে তাঁকে যে বাংলার কোচ হিসাবে দেখা যেতে পারে, সেটা শোনা যাচ্ছিল। দিন কয়েক আগে অরুণ লাল সিএবিতে এসে জানিয়ে দিয়ে যান যে তিনি আর কোচের দায়িত্বে থাকতে চান না। আর সবকিছু ঠিকঠাক চললে লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সিএবি সূত্রে অন্তত তেমনই খবর। এটাও শোনা গেল, লক্ষ্মীর সিনিয়র টিমের কোচ হয়ে আসার ব্যাপারটা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। গত মরশুমে বাংলার অনূর্ধ্ব ২৫ টিমের কোচের দায়িত্ব সামলেছেন লক্ষ্মী।
সিএবি কর্তারা মনে করছেন, এই মুহূর্ত কোচ হিসাবে বাংলায় লক্ষ্মীর থেকে আর কোনও যোগ্য লোক নেই। বাংলার হয়ে প্রচুর ম্যাচ জিতিয়েছেন। সেই ‘খারুশ’ মানসিকতা টিমের মধ্যে আমদানি করার জন্যই লক্ষ্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে তাঁর সঙ্গে বাকি সাপোর্ট স্টাফ কারা হবেন, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
সৌরাশিস লাহিড়ীর নাম রয়েছে সেই লিস্টে। বোলিং কোচ হিসাবে শিবশঙ্কর পাল থাকতে পারেন। বাংলার আর এক প্রাক্তন তারকা পেসার অশোক দিন্দাও বোলিং কোচ হওয়ার ব্যাপারে নাকি প্রচণ্ড আগ্রহী। তবে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে একটু আলোচনা চলছে। তবে লক্ষ্মীর নামটা যে একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে, সেটা বলে দেওয়াই যায়। এছাড়াও বাংলার বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলগুলোতেও কোচ এদিক-ওদিক হতে পারে।
লক্ষ্মী সিনিয়র টিমের কোচ হলে তখন অনূধর্ব ২৩ (গতবার যা ২৫ ছিল) নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। যা পরিস্থিতি, তাতে দিন কয়েকের মধ্যে চূড়ান্ত ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।