যখন তিনি নিজে ক্রিকেটার ছিলেন, দল হারুক বা জিতুক লক্ষ্মীরতন শুক্লা মাঠে নেমে সর্বদা নিজেকে উজাড় করে দিতেন। বহু ম্যাচে এই মানসিকতার জেরেই তিনি বাংলাকে জিতিয়েছেন। বাংলার কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর একটুও বদলাননি লক্ষ্মী। লড়াকু মানসিকতার পাশাপাশি দলকে নিয়ে মিলিটারি ট্রেনিং শুরু করেছেন।
এর মধ্যেই দেখা গেছে ইডেনের গ্যালারির সিঁড়ি বেয়ে ক্রিকেটারদের টায়ার দিয়ে বিশেষ উপায় পরিশ্রম করাচ্ছেন। লক্ষ্মী বিশ্বাস করেন শরীর শক্ত না হলে মানসিকতা শক্ত হওয়া সম্ভব নয়। নবনিযুক্ত কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লার কোচিংয়ে বাংলা দলের প্রস্তুতি শিবির চলছে জোরকদমে। বুধবার শিবিরে যোগ দিলেন ব্যাটিং পরামর্শদাতা ডব্লু ভি রামন।
অতীতে তিনি বাংলার কোচের দায়িত্ব সামলেছিলেন। ফলে এই পরিবেশ রামনের কাছে চেনা। প্রাক্তন ছাত্র লক্ষ্মীর সঙ্গে কাজ করতে তাঁর কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন রামন। বরং দায়িত্বটা তিনি উপভোগ করছেন। এদিকে, বাংলা দলের অনুশীলনে হঠাৎ হাজির অশোক দিন্দা। বাইশগজ ছেড়ে এখন তিনি রাজনীতির ময়দানে বিচরণ করেন।
হতে চেয়েছিলেন বাংলা দলের বোলিংও কোচও। যদিও তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তাহলে কি দিন্দা ফের ক্রিকেটার হিসেবেই কামব্যাক করছেন? ময়নার বিধায়ক বললেন, লেজেন্ড লিগ ক্রিকেটে খেলার প্রস্তাব পেয়েছি। তারই প্রস্তুতি নিচ্ছি। লক্ষ্মী এবং রমন জুটি বাংলা ক্রিকেট দলকে সাফল্য এনে দিতে পারবে বলেই সকলের বিশ্বাস।প্রথমে ঋদ্ধিমান সাহা এবং তারপর সুদীপ চ্যাটার্জী বাংলা ছেড়েছেন। দুজনেই যোগ দিয়েছেন ত্রিপুরায়। লক্ষ্মী অবশ্য এই নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি নন। অভিষেক, ঈশান, অভিমুন্য, আকাশ, মুকেশ, শাহবাজদের নিয়ে একটা শারীরিক এবং মানসিকভাবে কঠিন দল তৈরি করাই তার লক্ষ্য।