কলকাতা: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ থেকে সরাতে হবে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং অতিসক্রিয়তার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা। এমনই অভিযোগে সোমবার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কলকাতা হাই কোর্টে। বিক্ষোভরত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অন্য আইনজীবীদের এজলাসে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার জেরেই ধাক্কাঝাক্কি শুরু হয় হাই কোর্টে। এমন ঘটনা ঐতিহ্য বিরোধী বলেই মন্তব্য করেছেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
অভিযোগ, এদিন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের একাংশ এজলাস ঘেরাও করেন। ভিতরে ঢুকতে যাঁদের বাধা দেওয়া হয় তাঁরা বিজেপি ও বাম মনোভাবাপন্ন আইনজীবীরা। কোনওরকমে ওই আইনজীবীরা এজলাসে ঢুকে অভিযোগ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, ‘এজলাসের বাইরে কিছু হলে আমার কিছু করার নেই। আইনজীবীদের আমার এজলাসে ঢুকতে না দিলে বিচারপ্রার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বিষয়টি সকলের মাথায় রাখা দরকার।’
তিন মাস আগে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও অতিসক্রিয়তার অভিযোগ সম্পর্কিত মামলাগুলি বিচারপতি মান্থার এজলাস থেকে সরিয়ে অন্য বিচারপতিদের এজলাসে পাঠানো হয়েছিল।কিছুদিন আগেই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বিচারপতি সেগুলি মান্থার এজলাসে পাঠিয়েছিলেন। মাত্র তিন মাসের মধ্যে মান্থার এজলাসে এই মামলাগুলি ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ওই মামলা বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে সরাতে হবে। আইনজীবীদের অভিযোগ, বেশ কিছু মামলায় রাজাশেখর মান্থা একপাক্ষিক রায় দিয়েছেন।
এদিন বিচারপতি মান্থার এজলাসের বাইরে ঘেরাও-বিক্ষোভের সমালোচনা করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবও। তাঁর মন্তব্য, ‘কোনও বিচারপতির ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখানো আদালতের ঐতিহ্য হতে পারে না।’