আদ্রার মৃত তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবের বাড়িতে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, পরিবারের সদস্যদের দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস

আদ্রার মৃত তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবের বাড়িতে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। মৃত ধনঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন আইনমন্ত্রী। আশ্বাস দেন পাশে থাকার। রবিবার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক যখন ধনঞ্জয়ের বাড়ি যান তখন সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। প্রসঙ্গত, কাশীপুরের প্রাক্তন বিধায়কও এই স্বপন বেলথরিয়া। মৃতের স্ত্রী-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথাও বলেন তাঁরা। এরপরই মলয় ঘটক ধনঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যদের জানান, প্রযোজনে সমস্ত দিক থেকে দলের তরফ থেকে সাহায্য করা হবে তাঁদের। সবসময়ই তাঁদের পাশে আছে তৃণমূল। সঙ্গে আইনমন্ত্রী এ আশ্বাসও দেন, ‘দোষীরা যাতে শাস্তি পায় তা সরকার নিশ্চয় দেখবে। ইতিমধ্যেই দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দোষীরা যাতে শাস্তি পায় তা আমরাও দেখব।‘
এরই পাশাপাশি জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া ধনঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যদের জানান, ‘রাজ্যপাল ফোন করেছেন তারপর আমরা এখানে এসেছি এমনটা নয়। আগে থেকেই আমরা ওর পরিবারের পাশে আছি।‘ প্রসঙ্গত, শনিবার বিকালে ধনঞ্জয়-এর বাড়িতে ফোন করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কথাও বলেছিলেন আদ্রার মৃত তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবের দাদার সঙ্গে। ২৫ হাজার টাকা তাঁদের হাতে তুলে দিতেও চান।
গত বৃহস্পতিবার আদ্রার পুরাতন বাজার এলাকায় গিয়েছিলেন তৃণমূলের আদ্রা শহর সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। সেখানেই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। ছোড়া হয় তিন রাউন্ড গুলি। হাসাপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। এরপর এই ঘটনার তদন্তে নেমে ঘটনার পরের দিনই গ্রেপ্তার করা হয় আরসাদ ও জামাল নামে দুই দুষ্কৃতীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি বাইকও। সেই বাইকটিই দুষ্কৃতীরা অপকর্মের সময় ব্যবহার করেছিল বলে খবর। এরপর এই দুই দুষ্কৃতীকে আদালতে তোলা হলে দুজনের ১৩ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশও দেয় আদালত। সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এই দুজন ছাড়াও আরও একজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
তবে এদিন ধনঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় স্থানীয় সংবাদ প্রতিনিধিরা প্রশ্ন করেন ইডি-র ডাকে তাঁর দিল্লি যাওয়া নিয়ে। প্রত্যুত্তরে আইমন্ত্রী মলয় ঘটক স্পষ্ট জানান, ‘আমি যাব কী যাব না তা আপনাদের বলব কেন?’ প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ জুন ফের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। তবে তিনি যাবেন কী যাবেন না তা নিয়ে চলছে চাপানউতোর। এরইমধ্যে রবিবার আদ্রায় নিহত তৃণমূল নেতার কারণ, এই প্রথম নয়। এর আগে একাধিকবার তাঁকে তলব করেছে ইডি। এসেছে মেল। কিন্তু, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কেন তাঁকে বারবার ডাকা হচ্ছে এই প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থও হন। তখনই দিল্লি হাইরকোর্টের নির্দেশে বলা হয়, তদন্তে প্রয়োজনে তাঁকে ডাকা যেতেই পারে। কিন্তু, দিতে হবে প্রয়োজনীয় সময়। হাজিরার জন্য কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হবে তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − one =