রবীন্দ্র সদন। কলকাতায় শিল্পীদের সেখানেই শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী কেকের মরদেহও এসএসকেএম থেকে সেখানেই আনা হবে বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।গান স্যলুটে শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। বুধবার দুপুরে বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় ফিরেই দমদম বিমানবন্দরে মমতা জানান, এ ব্যাপারে গায়কের পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তাঁদের মুম্বই ফেরার বিমানের সময় দেখেই শিল্পীর দেহ রবীন্দ্র সদনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এর আগে কলকাতা বিমানবন্দরেই কেকে-কে গান স্যালুট দেওয়ার হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তখন অবশ্য তিনি ছিলেন বাঁকুড়ায়। পরে তিনি জানান, ময়নাতদন্তে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তাই সিদ্ধান্ত বদল। ততক্ষণে কলকাতায় ফিরেও আসেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় প্রয়াত শিল্পীদের আমরা রবীন্দ্র সদনেই শ্রদ্ধা জানাই। ওঁকেও আমরা রবীন্দ্র সদনেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তবে একই সঙ্গে মমতা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তে কেকে-র পরিবার কোনও সমস্যায় পড়বেন না। মমতা বলেছেন, ‘ময়নাতদন্ত করতে সময় লাগবে। ওঁদের বিমান বিকেল পাঁচটা ১৫ মিনিটে। তার আগেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের প্রক্রিয়া শেষ হবে।’
যদিও ইতিমধ্যেই কেকের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নজরুল মঞ্চে প্রবল গরমে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপকে শিল্পীর অসুস্থতার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
১৯৬৮ সালের ২৩ অগাস্ট হিন্দু মালায়ালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা সবকিছুই ছিল রাজধানী দিল্লিতে। ছোট থেকেই গলায় সুর, গানের প্রতি ঝোঁক। তবে প্লে ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে তাঁর জার্নি মোটেই সহজ ছিল না।প্লে ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে সুযোগ পাওয়ার আগে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জন্য প্রায় ৩,৫০০টি জিঙ্গেল গেয়েছিলেন কে কে। কে কে কোনওদিনও আনুষ্ঠানিকভাবে গানের তালিম না নিলেও তাঁর কন্ঠস্বরের ম্যাজিক সকলকে মুগ্ধ করে দিয়েছিল।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত ক্রিকেট দলের সমর্থনে ‘জোশ অব ইন্ডিয়া’ গানে তাঁর গলাও শোনা যায়।১৯৯৯ সালেই ‘সোনি মিউজিক’ এর তরফ থেকে একটি মিউজিক অ্যালবামের জন্য খোঁজ করা হচ্ছিল নতুন গলার।রেকর্ড করেন জীবনের অন্যতম সেরা গান। আর সেই অ্যালবাম ছিল ‘পল’।তারপর তাঁর কণ্ঠস্বর মুগ্ধ করে দেশবাসীকে। তরুণ প্রজন্ম তাঁকে বিশেষভাবে পছন্দ করতে শুরু করে। এরপর শুধু হিন্দি নয়, একাধিক ভাষায় তিনি গান গেয়েছন। প্লে ব্যাক করেছেন।
গায়কের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কলকাতা। ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবার এসে পৌঁছেছেন।