অস্ট্রেলিয়ায় সচরাচর এমন আবহাওয়া দেখা যায় না। কিন্তু এবার ইংল্যান্ডের মতো ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ—সব মিলিয়ে রীতিমতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয় ব্রিসবেনে। তার জেরেই বাতিল হয়ে যায় গাব্বায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পঞ্চম টি-২০ ম্যাচটি। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় ভারত।
ওয়ানডে সিরিজে হারের মধুর প্রতিশোধও নিয়ে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। উল্লেখ্য, সিরিজের প্রথম ম্যাচটিও বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল। ব্রিসবেনের ম্যাচের সূচনা হয় নির্ধারিত সময়েই। টসে হেরে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় দলে একটিমাত্র পরিবর্তন আনা হয়—তিলক বর্মাকে বিশ্রাম দিয়ে জায়গা দেওয়া হয় রিঙ্কু সিংকে। তবে এর বাইরে আর কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। ব্যাট হাতে শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত ৪ ওভার ৫ বলেই বিনা উইকেটে ৫২ রান তুলে ফেলে ভারত। শুভমান গিল এবং যশস্বী জয়সওয়াল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। কিন্তু হঠাৎই খারাপ আবহাওয়া খেলার আনন্দে জল ঢেলে দেয়। শুরুতে বৃষ্টি না থাকলেও আকাশে ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল।
প্রবল শব্দে কেঁপে উঠছিল স্টেডিয়াম। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার স্বার্থে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। শুধু খেলোয়াড়রাই নয়, দর্শকদের সুরক্ষার দিকেও নজর দেয় স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। নীচের শেডহীন গ্যালারিতে বসা দর্শকদের ওপরের সারিতে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং নীচের অংশ সম্পূর্ণ খালি রাখা হয়। জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে সতর্কবার্তা—“আমরা বিপজ্জনক আবহাওয়ার সম্মুখীন। দয়া করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।” পরে বৃষ্টি শুরু হয় এবং কয়েক দফায় থেমে গেলেও খেলা পুনরায় শুরু করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত এই সিরিজে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন অভিষেক শর্মা। সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি এদিন নিজের টি-২০ আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি।
মাত্র ২৮ ইনিংসে এই মাইলফলক ছোঁয় অভিষেক, যা ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম। তার আগে মাত্র ২৭ ইনিংসে এই কীর্তি গড়েছিলেন বিরাট কোহলি। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি না হলেও, ভারতের জন্য সিরিজ জয়টি বড় প্রাপ্তি। ওয়ানডে সিরিজে হারের পর এই সাফল্য টিম ইন্ডিয়ার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াবে।

