পোর্ট মোরসবি, ২৪ মে: পাপুয়া নিউগিনির কাওকালাম গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধস। এতে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৩টে নাগাদ ভূমিধসের কবলে পড়ে গ্রামটি। স্বভাবতই সেসময় গ্রামেরû অধিকাংশ মানুষই ঘুমচ্ছিলেন। এর ফলে গ্রামবাসী কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে গোটা গ্রাম মাটির তলায় চলে যায়। ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমে চলে যান বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই এই ভূমিধসের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার ভয়াবহ ভূমিধসের খবর জানা যায় অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের মাধ্যমে। কাওকালাম গ্রামটি পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরসবি থেকে ৬০০ কিমি উত্তরে অবস্থিত। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোটা গ্রামের মানুষ যখন ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন, তখন ধস নামে ওই গ্রামে। ফলে গ্রামবাসীরা কিছুই বুঝতে পারেননি, তার আগেই সব কিছু শেষ হয়ে যায়। এই ঘটনায় অন্তত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। তবে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছে মাটির নীচ থেকে দেহ উদ্ধার করতে শুরু করেছে। জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন।
উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে কয়েকজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভূমিধসের কবলে পড়া মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। এই বিপর্যয় নিয়ে পোর্গেরা উইমেন ইন বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এলিজাবেথ লারুমা বলেন, ‘পাহাড় ধসে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। যখন সব মানুষ ঘুমচ্ছিলেন তখন ধস নেমে গোটা গ্রাম তলিয়ে যায়। এই ঘটনায় একশোর ওপর মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা।’ এখন কাওকালাম গ্রামজুড়ে শুধুই স্বজনহারাদের কান্না আর হাহাকার।