বন্ধ থাকা খোলামুখ খনিতে ধসের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের চাপা পড়ার ঘটনা কুলটির বড়িরা এলাকায়। এই এলাকাতেই বিসিসিএলের দামাগড়িয়ার খোলা মুখ খনির হাজলা পিট রয়েছে বলে সূত্রে খবর। এদিকে রবিবার সকলে এই দামাগড়িয়ার খোলা মুখ খনির হাজলা পিটে ধস নামে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এরই পাশাপাশি খনি এলাকায় কয়লা চুরির অভিযোগও উঠছে। রবিবার সেখানে ধস নামে এবং কিছু জনের আটকে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এই ঘটনার সত্যতা এখনও জানা যায়নি। কারণ স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ এখনও সামনে আসেননি।
তবে এদিনের এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা কাউন্সিলর লালন মেহারার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই বন্ধ খনিতে সুড়ঙ্গ তৈরি করে কয়লা উত্তোলনের চেষ্টা করছে স্থানীয় কিছু মানুষ। এই ঘটনায় শাসকদলকেও বিদ্ধ করতে ছাড়েননি তিনি। অন্যদিকে, বিজেপির তরফে অবশ্য কয়লা পাচারের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যদিও খনিতে ধসের কারণে আদৌ কোনও মানুষ আটকে রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, কয়লা চুরির যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। খনি থেকে কয়লা চুরি রোধ করা বিসিসিএল এবং সিআইএসএফের কাজ বলে দাবি করছেন তাঁরা। কয়লাচুরির ঘটনায় রাজনৈতিক কারণে তৃণমূলকে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেই দাবি তাঁদের। এই যাবতীয় অভিযোগ আদতে বিজেপির প্রলাপ বকা ছাড়া আরা কিছুই নয় এমনও দাবি করা হয় তৃণমূলের তরফ থেকে। তবে এই ঘটনায় বিসিসিএল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি। এদিকে খাতায় কলমে খনিতে কেউ আটকে থাকার বিষয়ে অভিযোগ না ওঠায় এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি।
অন্যদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা কয়লা চুরি নিয়ে বিজেপির এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কুলটির যুব তৃণমূলের সভাপতি বিমান দত্ত জানান, ‘পাগলের মতো অভিযোগ আনছে বিজেপি। ভিত্তিহীন অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আগে বিজেপির নিজের ঘরের দিকে নজর দেওয়া উচিৎ। আর কিছুই নয়, কুৎসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।’ এই প্রসঙ্গে বিসিসিএল আধিকারিকরা অবশ্য মুখ খুলতে চাননি।