এবার লালগোলার চাকরিপ্রার্থী আব্দুর রহমানের আত্মহত্যার ঘটনাও যুক্ত হল নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের সঙ্গে।এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। ফলে এই অবস্থায় লালগোলার প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যার বিষয়টিও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব পড়ল সিবিআইয়ের ঘাড়েই। এ ব্যাপারে বুধবার সিবিআই-কে এই তদন্তের নথি সাত দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।এক্ষেত্রে আদালতের বিশেষ পর্যবেক্ষণ, চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইট নোট নিয়োগ দুর্নীতির সূত্রও হতে পারে। প্রয়োজনে সিবিআই এই মামলায় চার্জশিটও দাখিল করতে পারবে বলেও এদিন নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই মামলায় অবশ্য আগেই চার্জশিট জমা করেছে রাজ্য পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে আগেই আদালতে জানানো হয়েছে, আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী আব্দুর রহমানের কাছ থেকে একটি ন’পাতার সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দাবি, আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী আব্দুর রহমান কেবল প্রতারিত চাকরিপ্রার্থী তাই নয়, তিনি নিজেও জড়িয়ে পড়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে। পুলিশের চার্জশিটেই তাঁর নাম রয়েছে।
এদিকে আদালতে পুলিশ এও জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে রহমানের।ফলে এই ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজে বার করার সুযোগ রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। এর আগে এই মামলায় বিচারপতি উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে হবে। কারণ, এসএসসি দুর্নীতির সঙ্গে এই ঘটনার যোগ রয়েছে। শুধু আত্মহত্যা নয়, কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও তদন্তের বিষয় নিয়ে চিন্তিত। তাই সিবিআই-এর মতামত চায়।’ বিচারপতি তখনই পাশাাপশি এও জানতে চেয়েছিলেন, ‘সিবিআই কেন জেলে গিয়ে জেরা করছে না তা নিয়েও। কাণ, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা ওড়ানো যাচ্ছে না।’
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের লালগোলায় চাকরিপ্রার্থী আব্দুর রহমানের দেহ উদ্ধার হয়।পরিবারের অভিযোগ, আত্মঘাতী হয়েছেন রহমান। প্রাথমিকে চাকরির টোপ দিয়ে রহমানের কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা দিয়েও তিনি চাকরি পাননি বলে দাবি পরিবারের। বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়ায় সুইসাইড নোট ও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।