রামপুরহাট: বীরভূমের বগটুই গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগের ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখ অবেশেষে সিবিআইয়ের জালে। দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পর অবেশেষে মিলল তার খোঁজ। সূত্রে খবর, বগটুইয়ের ঘটনায় নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ছায়াসঙ্গী ছিল এই লালন। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। রবিবার ধৃতকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। বগটুইয়ের ঘটনা ঘটে মার্চ মাসে। এরপর জুন মাসে দেওয়া হয় চার্জশিট। চার্জশিট জমা দেওযার পরও দীর্ঘদিন ধরে খোঁজ মিলছিল না লালনের। অবশেষে ঘটনার প্রায় ৯ মাস পর বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বোমা মেরে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার বদলা নিতেই ওই রাতে বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরের দিন গ্রাম থেকে সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল।পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ২১ জুন সিবিআইয়ের তরফে চার্জশিট জমাও করা হয়। তবে এই ঘটনার পর থেকেই কোনও খোঁজই মিলছিল না অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক ব্যক্তিকে বগটুইয়ের নারকীয় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মর্মান্তিক ওই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম চক্রী আনারুল শেখকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়। কিছুদিন আগে লালন শেখের ভাগ্নে বুলু শেখ ওরফে ডলারকেও গ্রেপ্তার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এখন দেখার, লালনকে জেরা করে এই নৃশংস হত্যালীলার তদন্তের আরও কোনও নতুন মোড় উঠে আসে কি না। পাশাপাশি এ প্রশ্নও উঠছে কেন সিবিআইয়ের এতদিন সময় লেগে গেল লালনের খোঁজ পেতে, তা নিয়েও। আর এই ইস্যুতে জল্পনা অব্যাহত বিভিন্ন মহলে।