কানাডা ওপেনে চ্যাম্পিয়ন লক্ষ্য

নাকের চোটের জেরে প্রায় তিন মাস কেটেছিল কোর্টের বাইরে। অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হলেও ছন্দে ফিরতে লেগে যায় আরও ছ’মাস। ব্যর্থতার চোরা গলি পেরিয়ে অবশেষে সাফল্যের রাজপথে লক্ষ্য সেন। দুরন্ত লড়াইয়ে কানাডা ওপেন ব্যাডমিন্টনে খেতাব জিতলেন ভারতীয় শাটলার। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের দশম স্থানে থাকা চাইনিজ প্রতিপক্ষ লি শি ফেংকে ২১-১৮, ২২-২০ স্ট্রেট গেমে পরাস্ত করলেন ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ী লক্ষ্য। ম্যাচের শেষ পর্বে টানা চারটি গেম পয়েন্ট সেভ করে বুঝিয়ে দিলেন প্রতিপক্ষ যত ওজনদার হোক না কেন, ছেড়ে কথা বলার পাত্র তিনি নন। দীর্ঘ ১৭ মাস পর কোনও বিশ্ব ট্যুর খেতাবের স্বাদ পেলেন উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ার যুবক। এই সাফল্য এশিয়ান গেমসের আগে মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে ২১ বছর বয়সি শাটলারের। চলতি টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে দেখা গিয়েছে লক্ষ্যকে। প্রতি রাউন্ডেই দাপুটে জয় নিয়ে কোর্ট ছাড়েন তিনি। পরিসংখ্যান বলছে, ফাইনালের প্রতিপক্ষ লি শি ফেংয়ের বিরুদ্ধে অতীতে ছ’বারের সাক্ষাতে চারবার জয় পেয়েছিলেন ভারতীয় শাটলারটি। তাই র‌্যাঙ্কিংয়ে ৯ ধাপ নীচে থাকলেও মানসিকভাবে চাইনিজ তারকার থেকে এতটুকু পিছিয়ে ছিলেন না তিনি। খেতাবি লড়াইয়ের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক দেখায় তাঁকে। এক এক সময় লক্ষ্যের র‌্যাকেট থেকে ছিটকে বেরিয়েছে ঘণ্টায় প্রায় ৪০০ কিমি গতির স্ম্যাশ! আর তা কাজে লাগিয়ে ম্যাচের শুরুতেই ৬-২ ব্যবধানে এগিয়ে যান তিনি।  তিনি আর একটা পয়েন্ট পেলেই ম্যাচে ফিরত সমতা। খেলা গড়াত নির্ণায়ক তৃতীয় গেমে। তবে তা আর হতে দেননি লক্ষ্য। দাঁতে দাঁত চেপে তিনি শুধু চারটি গেম পয়েন্ট সেভ করেননি, একই গতিতে নিশ্চিত করেন ২২-২০ ব্যবধানে জয়ও। খেতাব জয়ের পর বেশ আপ্লুত দেখায় লক্ষ্যকে। ক্রমাগত ব্যর্থতার ধারা কাটিয়ে এই কামব্যাক অনেকটাই লাঘব করেছে মানসিক যন্ত্রণা। লক্ষ্যের মন্তব্য, ‘সামনেই ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জন পর্বের লড়াই। রয়েছে এশিয়ান গেমসও। তার আগে ছন্দে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। গত বছর নাকের অস্ত্রোপচারের পর অনেকটা সময় কোর্টের বাইরে কাটাতে হয়েছিল। ফলে দেখা দেয় ফিটনেসে ঘাটতি। তার প্রভাব পড়তে থাকে খেলাতেও। এই সাফল্য তাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আপাতত নিজেকে চোটমুক্ত রাখাই আমার লক্ষ্য।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × one =