আরামবাগ: বিডিও-র পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে জালিয়াতি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাইয়ে দিতেন বাবা-কাকা-পাড়ার ভাইদের! আর এই ঘটনাতেই খানাকুল থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা সহ দু’জন। যদিও এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শ্রীকান্ত দাস এখনও অধরা। আর এই ঘটনা ঘটেছে খানাকুল দু’নম্বর ব্লকে। ধৃত ব্যক্তিদের নাম অশোক কুমার দাস, সনাতন জানা ও গোপাল জানা। জানা গেছে, অভিযুক্ত শ্রীকান্ত দাস বিভিন্ন জায়গায় ডেটা এন্ট্রির কাজ করতেন। সেইমতো খানাকুল দুই ব্লকে ডেটা এন্ট্রি কাজ করতেন তিনি। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রথমে বিষয়টি নজরে আসে রাজ্য প্রশাসনের। দেখা যায়, বহু পুরুষের অ্যাকাউন্টেই খানাকুল ২ ব্লকের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আইডি থেকে টাকা যাচ্ছে। যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে তাদের কারও বাড়িই খানাকুলে নয়। প্রত্যেক পুরুষ উপভোক্তার বাড়ি মেদিনীপুরের ময়না থানার দক্ষিণ হরকালী গ্রামে। খানাকুল থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করে বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযোগ শ্রীকান্ত দাস নাকি বিডিওর পাসওয়ার্ড জাল করে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা বিভিন্ন পুরুষকে পাইয়ে দিয়েছিল। মঙ্গলবার অভিযুক্ত শ্রীকান্ত দাসের বাবা সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গেছে, শ্রীকান্ত দাসের বাবা নাকি ওই এলাকার বিজেপির বুথ সভাপতি। বুধবার তাদেরকে আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। যদিও এই ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তকে ধরার জন্য তল্লাশি চালাচ্ছে খানাকুল থানার পুলিশ। এই বিষয়ে খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষ বলেন, বিষয়টি জানাজানি হতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তর খোঁজ চলছে।
তবে এর সঙ্গে এখনো আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে খানাকুল থানার পুলিশ। অপরদিকে খানাকুল এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দীপেন মাইতি বলেন, এটা বিজেপির কালচার। মা বোনেদের লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা বিজেপি জালিয়াতি করে নিচ্ছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। তৃণমূল নেতা অভিজিৎ বাগ বলেন, বিজেপি মানেই দুর্নীতি গ্রস্ত একটা দল। জনগণ সবই বুঝতে পারছে। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।