হাওড়া: বাড়ির কর্তাক মাথায় লোহার রড দিয়ে মেরে, বাচ্চার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ করে নিয়ে গেল ডাকাতরা। শুক্রবার ভোররাতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে জগৎবল্লভপুরে বড়গাছিয়া সকালবাজারে এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর বাড়িতে। ঘটলো দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা।
অভিযোগ, এদিন ভোররাতে চার সশস্ত্র ডাকাত মুখে গামছা বেঁধে বস্ত্র ব্যবসায়ী সুজিত কাঁড়ারের বাড়িতে হানা দেয়। সেই সময় সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন।ডাকাতরা ঘুমন্ত অবস্থায় গৃহকর্তাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় মারে। মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। এরপর আর বাধা দেওয়ার সাহস পাননি তিনি বা অন্য কেউ। এরপর ডাকাতরা সাত বছরের ছেলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বাড়ির সব সোনার গয়না ও নগদ টাকা লুঠ করে বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ীর স্ত্রীর গা থেকেও যাবতীয় সোনার গয়নাও খুলে নেয় দুষ্কৃতীরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে লুঠপাট চালায় ডাকাতরা।
সুজিত কাঁড়ার জানান ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, চার জন ডাকাত বাড়িতে ঢোকে। দুজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, একজনের হাতে লোহার রোড ও আর একজনের হাতে বড় হাতুড়ি ছিল। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় পরিবারের সকলের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে চম্পট দেয় ডাকাত দল। পরে দাঁত দিয়ে দড়ি কাটার পর চিৎকার চেঁচামেচি করে প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি।
ডাকাতির খবর দেওয়া হয় স্থানীয় জগৎবল্লভপুর থানাতে। আসে পুলিশ। এই ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত ওই পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিবেশীদের অভিযোগ জগৎবল্লভপুর থানায় ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেনি। পরে ১০০ ডায়ালে ফোন করলে পুলিশ সুপারের অফিসের নাম্বার দেওয়া হয়। সেখানে ফোন করে জানালে বেশ কিছুক্ষণ বাদে পুলিশ আসে। গোটা ঘটনার তদন্ত পুলিশ শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যদিও এই ঘটনায় পরিবারের পরিচিত কেউ যুক্ত আছে বলে মনে করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাশাপাশি ওই বস্ত্র ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করার সময় ব্যবসায়ীকে স্কুলের মাস্টার বলে সম্বোধন করার ঘটনাও ভাবাচ্ছে অধিকারিকদের। অন্য কারও বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে অন্যের বাড়িতে ঢুকে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হবে বলেই জানা যাচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।