কেওয়াইসি আপডেটের জন্য ফোনে দেওয়া লিঙ্ক ক্লিক করতেই উধাও টাকা। দুই দফায় উধাও প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। এমন ঘটনার অভিযোগ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় জানানো পরই তদন্তে নামে বিধাননগর কমিশনারেট। এরপর এই প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় রাজস্থানের বাসিন্দা দয়ারাম খিচারকে। ধৃতের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, প্যান কার্ড, আধার কার্ড-সহ এসবিআই ক্লাসিক ভিসা কার্ড, ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের ডেবিট কার্ড, এসবিআইয়ের চেকবুক মেলে। যা বাজেয়াপ্ত করা হয়। সূত্রে খবর, সোমবারই তাঁকে রাজস্থান আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় বিধান নগর সাইবার শাখায়। মঙ্গলবার তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গেছে।
বিগত কয়েক বছরে গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও সাইবার অপরাধের পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। আম-আদমির টাকা হাতাতে নিত্যনতুন ফাঁদ পাতছে প্রতারকের দল। এই রকমই এক প্রতারকের শিকার হন সল্টলেকের পূর্বাচলের বাসিন্দা সুপ্রিয়া মুখোপাধ্যায়। বিধাননগর সাইবার ক্রাইম শাখা সূত্র মারফত খবর, ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন সুপ্রিয়া দেবী। সেই অভিযোগপত্রেই তিনি জানান, ৭৮৯০৫৩৮১৪১ এই নম্বরটি থেকে তিনি একটি টেক্সট মেসেজ পান। তাতেই স্পষ্ট লেখা ছিল আপনার, ‘এইচডিএফসি অ্যাকাউন্টের নেট ব্যাঙ্কিং আজ সাসপেন্ড করা হবে। করতে হবে কেওয়াইসি।’ এরপরই একটি নির্দিষ্ট লিঙ্ক তাঁকে পাঠানো হয়। ওই মেসেজে স্পষ্ট লেখা ছিল এই এটি আদপেকেওয়াইসি আপডেটের লিঙ্ক। লিঙ্ক দেখে সন্দেহ হয়নি সুপ্রিয়া দেবীর। নেট ব্যাঙ্কিং চালু রাখতে তিনি ওই লিঙ্ক পাওয়া মাত্রই তাতে ক্লিক করেন। অভিযোগ, লিঙ্কে ক্লিক করতেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে ৪৯৯৯৭ টাকা উধাও হয়ে যায়। পরবর্তী কিছু সময় পর ওই অ্যাকাউন্ট থেকেই আরও এক লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। ঘটনায় মাথায় হাত পড়ে সুপ্রিয়া দেবীর। দ্বারস্থ হন পুলিশের। গোটা ঘটনার কথা শুনে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে নেমে বিধাননগর সাইবার শাখার পুলিশ রাজস্থানের শিকার থেকে দয়ারাম খিচর নামে এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।