গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন কুন্তল ঘোষ।এমনকী তাঁর অভিযোগের রেশ ধরে সিবিআই দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেককেও। এবার ফের কেন্দ্রীয় সংস্থার ইডি-র বিরুদ্ধে মুখ খুললেন কুন্তল ঘোষ। আর এবার তাঁর মুখে শোনা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম। শুক্রবার তিনি প্রিজন ভ্যান থেকে নামার সময় জানান, ‘শুভেন্দু অধিকারী ইডি-র বস নয়।’ পাশাপাশি কুন্তলের দাবি, ‘ইডি মিথ্যা কথা বলছে।যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে আমার স্টেটমেন্ট আদালতের সামনে নিয়ে আসা হোক।’ সঙ্গে কুন্তল এও বলেন, ‘ইডি আমার ১ তারিখের স্টেটমেন্ট জনসমক্ষে নিয়ে আসুক।’ শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাখাল বেরাকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, সেচ দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে রাখালকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে জামিন পান তিনি।
এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে অভিষেকের নাম বলতে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। আর এবার নিজের বয়ান নিয়েই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন কুন্তল ঘোষ। তাঁর বক্তব্যের সারমর্ম হল, জেরায় যা বলছেন তিনি, তা সামনে আনা হচ্ছে না। পক্ষান্তরে তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে কার্যত তথ্য গোপন করার অভিযোগও তোলেন তিনি। পরে কোর্ট চত্বর ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় আবারও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কুন্তল। বলেন, ‘৩১ মে শুভেন্দু অধিকারী কতবার ইডি অফিসারদের ফোন করেছিলেন, ওঁর ফোন চেক করে দেখা হোক।’ উল্লেখ্য, ওইদিনই গ্রেপ্তার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু।
এর আগে আদালতে হাজিরার পথেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত ও বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল দাবি করেছিলেন, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে চাপ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে সে বিষয়ে জেল থেকে চিঠি লিখে আলিপুর আদালত ও হেস্টিংস থানাতেও অভিযোগ করেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত এই বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা। কুন্তল ঘোষের চিঠি প্রসঙ্গেইঅভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে সিবিআই। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।
অন্যদিকে, তাঁর সঙ্গে এদিন আদালতে হাজিরা ছিল তাপস মণ্ডলেরও। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুললেও এড়িয়ে গেলেন কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গ। এদিন আদালতে পেশ করার মুখে নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে জানান,’যা বলার কুন্তল বলবে।’ অথচ মাস চারেক আগেই তার মুখেই শোনা গিয়েছিল কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম।