রাজু ঝায়ের খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গেল রানাঘাটে ডাকাতির ঘটনাও। রানাঘাটের ডাকাতির তদন্তে নেমে শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনে অভিযুক্ত বিহারের বাসিন্দা শার্প শুটার কুন্দন কুমার ধরা পড়ল পুলিশের জালে। রাজু ঝায়ের খুনের ঘটনার বেশ কয়েক মাস কেটে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এতদিন কুন্দন পুলিশের নজরে ফেরার ছিল। এবার রানাঘাটে ডাকাতির ঘটনাতেও এই কুন্দনেরই নাম জড়ায়। শেষমেশ সেই কুন্দন পুলিশের জালে।
তদন্তকারীরা বলছেন, বিহারের বিভিন্ন গ্যাংস্টাররা এখন জেলে। আর তারা জেলে বসেই নতুন নতুন গ্যাং তৈরি করছে। সেই গ্যাঙেরই সদস্য কুন্দন। কুন্দন আদতে বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা। তাকে জেরা করেই জানা যায়, চলতি মাসে ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনেও সে যুক্ত। ওই খুনের ঘটনায় একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে। তাতে যে তিন জনকে গুলি চালাতে দেখা যায়, তাদেরই মধ্যে একজন ছিল এই কুন্দন। গাড়ির চালকের পাশের আসনের জানালা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল কুন্দন। উল্লেখ্য, সেই আসনেই বসেছিল কুন্দন। নদিয়া পুলিশের দাবি, কুন্দন তার এই অপরাধের বিষয়টি জেরায় স্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ গত জুন মাসে ২৬ তারিখ বোকারো থেকে মুকেশ কুমার ও পবন কুমার নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, মুকেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই কুন্দনের নাম জানতে পারে পুলিশ। কিন্তু সেই অনেক তল্লাশিতেই কুন্দনের হদিশ পায়নি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত রানাঘাটের ডাকাতির ঘটনায় সেই কুন্দনের হদিশ পেল পুলিশ। তদন্তকারীরা এখন জেরায় জানতে পারেন, কুন্দন আদতে মুকেশেরই ভাই।
এদিকে রাজু ঝায়ের খুন এবং নদিয়ার ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা প্রসঙ্গে তদন্তকারীরা এই ব্যাপারে একরকম নিশ্চিত, বাংলায় খুন-ডাকাতি যে কোনও ধরনের বড় অপরাধের ক্ষেত্রে বিহার যোগ দিন দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। স্বর্ণগহনা প্রস্তুতকারক ও বিক্রয়কারী সংস্থার রানাঘাট ও পুরুলিয়ার আউটলেটে ডাকাতির ঘটনাতেও বিহার যোগ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। রানাঘাটের খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।