শহরের দু’টি রাস্তা ও একটি মেট্রো স্টেশনের নাম পরিবর্তনের আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কুম্ভমেলা পরিষদ আয়োজিত ধর্মতলায় ধর্মপুজোর অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে শনিবার শুভেন্দু অধিকারী মেয়ো রোডের নাম পরিবর্তন করে ধর্মরাজ সরণি আর লেলিন সরণির নাম পরিবর্তন করে ধর্মতলা সরণি করার আবেদন জানানো হয়। এরই পাশাপাশিএসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের নাম ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন করারও দাবি তোলা হয় এদিনের এই মঞ্চ থেকে। এরই পাশাপাশি কুম্ভমেলা পরিষদ আয়োজিত ধর্মপুজোর অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এও জানান, ‘এই কর্মসূচির সঙ্গে আমি রয়েছি। এরা কতগুলো যুক্তিসঙ্গত দাবি রেখেছেন। তার মধ্যে মেট্রোস্টেশনের নাম ধর্মতলা করার দাবি, লেলিন সরণির নাম ধর্মতলা রোড করার দাবি, মেয়ো রোডে নাম ধর্মরাজ সরণি করার দাবি। ধর্মরাজের পুজোর অনুমতি প্রদানের দাবি।‘
তবে এখানে বলে রাখা শ্রেয়, যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে এই নাম পরিবর্তনের যে হিড়িক পড়েছে তা মোটেই ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল। শুধু তৃণমূল-ই নয়, এটা ভালভাবে নেননি সামজের এক বৃহত্তর অংশের মানুষও। আর সেই কারণেই শুভেন্দুর এই আর্জি শুনে তাঁকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এই নাম পরিবর্তন ইস্যুকে সামনে এনে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে বিদ্ধ করে জানান, ‘বিজেপির জেনেটিক সমস্যা হল নাম পরিবর্তন করা। শুভেন্দু অধিকারী মানসিক ভারসাম্যহীনদের মধ্যে পড়ে। এটা একটা হুজুক, বলে দিলেই হল। আমরা হয়ত মতাদর্শগত ভাবে বিরোধী। তবে কমরেড লেলিনের তো বিশ্বব্যাপী প্রভাব রয়েছে।’ আর এখানেই তৃণমূল মুখপাত্রের প্রশ্ন, ‘তাঁর দর্শন, তাঁর আন্দোলন, তাঁর নেতৃত্বের স্বীকৃতি দিয়ে কোথাও যদি একটা লেনিন সরণি থাকে তাও কি ধর্মের দোহাই দিয়ে পরিবর্তন করতে হবে?’