কৌস্তভের গ্রেপ্তারির ঘটনায় মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর তাতেই বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। শনিবার সকাল ৮ টা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে। এই ঘটনায় উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তিনি, এই দাবিতে সুর চড়িয়েছেন রাজ্য শাসক দলের নেতারা। এদিকে আবার পালটা তার বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিরোধীরা। তবে এরই মাঝে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের এক মন্তব্যে বেশ অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কৌস্তভ বাগচীর গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আমার ব্যক্তিগত মতামত। ও অন্যায় করেছে। মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে ওই ধরনের কুৎসা বরদাস্ত করা যায় না। আমাদের ছাত্র- যুবরা কৌস্তভের অসভ্যতা বুঝে নিতে পারত। তবে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার ঠিক হল না। এতে কৌস্তুভ প্রচার পাবে।’ একইসঙ্গে কুণালের সংযোজন, ‘বিরোধী শক্তির অশুভ আঁতাত কুৎসিত রাজনীতির হাতিয়ার হবে। একাংশের মিডিয়ার পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারের মুখ হবে। কিছু মানুষের সহানুভূতি পাবে। এই গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করবে তারা।’
এদিনের এই প্রসঙ্গে টেনে আনেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গও। কারণ সেদিনও সজলের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে সরব হয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ। এদিন কৌস্তভের বাড়িতেও একই ভাবে পুলিশি অভিযান প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘যেদিন পুলিশ সজলের বাড়ির দরজা ভেঙেছিল, আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। পরে প্রমাণিত হয়েছে আমার প্রতিবাদ সঠিক ছিল। লাভ হয়েছিল সজলের। মধ্য কলকাতায় একটি ওয়ার্ড জিতেছিল বিজেপি। সেদিন পুলিশি অভিযানের ধরন ছিল ভুল।’ এরপরই কৌস্তভের গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘এতে ওর এবং বিরোধীদের রাজনৈতিক লাভ হবে। কৌস্তভ অন্যায় করেছে। ওর অপরিণত, অসৌজন্য কথা বলার প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু তার জবাব রাজনৈতিকভাবে আমাদের ছাত্রযুবরা দিতে পারত। পুলিশি অভিযান ঠিক হল না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সজলের দরজা ভাঙার ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল।‘
এদিকে কৌস্তভের গ্রেপ্তারির পরেই বারবার বিরোধীরা দাবি করছেন, পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কৌস্তভের হয়ে ময়দানে নেমেছেন বাম এবং কংগ্রেস নেতারা। তাঁর গ্রেপ্তারির তীব্র বিরোধিতা করতে শোনা গিয়েছে সুজন চক্রবর্তী এবং বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। প্রয়োজনে পথে নেমে প্রতিবাদ করবে কংগ্রেস, এই বার্তাও দিতে শোনা গেছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে।