মন খারাপ কুমারস্বামীর, বেলা বাড়তেই ফিকে কিং-মেকার হওয়ার স্বপ্ন

কর্নাটক বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার ১১৩। বেলা ১টা নাগাদ যা ট্রেন্ড তাতে ইতিমধ্যেই প্রায় ১২৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। সেখানে বিজেপির ঝুলিতে ৭০টি আসন। জনতা দল সেক্যুলারের দখলে ২৪টি আসন। অন্যান্যরাও দখল করেছেন ৭টি আসন।
নির্বাচনের পর এক্সিট পোলে ইঙ্গিত মিলেছিল কর্নাটকে হতে পারে ত্রিশঙ্কু। সরকার গঠনে কিং-মেকারের ভূমিকায় উঠে আসতে পারে জেডিএস। প্রসঙ্গত, কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে এবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ২ হাজার ৬১৫ জন প্রার্থী। এদিকে বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত ছিল গোটা রাজ্যে ৩০ থেকে ৩২টি আসন পেতে পারে জেডিএস। বিজেপি খানিক পিছিয়ে থাকলেও এমনকি কংগ্রেসের পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া চাপের হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। সে ক্ষেত্রে হাত সরকার গঠনে জেডিএসের হাত ধরা ছাড়া সিদ্দারামাইয়াদের আর কোনও উপায় থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছিল। এদিকে আবার তাঁরাই যে কিং-মেকার হতে চলেছেন সে দাবি আগেই করেছিলেন দলের সভাপতি দেবগৌড়া পুত্র এইচডি কুমারস্বামী। শনিবারের সকালেও ছিল তারই ইঙ্গিত। কিন্তু বেলা বাড়তেই বদলে যায় চিত্রটা। সকলকে পিছনে ফেলে শীর্ষস্থানে সিদ্দারামাইয়ার দল।
আর এরই প্রেক্ষিতে একটু কোথাও যেন মন খারাপের সুর কুমারস্বামীর গলায়। সম্পূর্ণ ফলাফল ঘোষণা না হলেও এদিন দুপুরে তিনি স্পষ্টই জানালেন, কেউ এখনও যোগাযোগ করেনি তাঁর সঙ্গে। সরকার গঠনের জন্যও কোনও কথা বলেনি। যদিও দিনের শেষে খেলা খানিক ঘুরতে পারে বলেও আশা এখনও করছেন তিনি। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৭, পরবর্তীতে ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন এই কুমারস্বামী-ই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − sixteen =