ভোটপর্ব মিটতেই আবার অশান্ত হয়ে উঠল মণিপুর। শুক্রবার গভীর রাতে বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনায় জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের দুই জওয়ান। গুলি এবং গ্রেনেডের আঘাতে গুরুতর জখম চার জন। নতুন করে অশান্তি শুরু হতেই মণিপুর জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিষ্ণুপুরে নতুন করে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে, শুক্রবার গভীর রাত থেকে বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চলছে জঙ্গিদের। এনকাউন্টারে এখনও পর্যন্ত সিআরপিএফের দুজন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজন। গোটা এলাকা কর্ডন করে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনা ও আধাসেনা। এলাকায় কুকি জঙ্গিদের বড়সড় ডেরা রয়েছে বলে ‘মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স’ থেকে নাকি আগেই খবর পেয়েছিল যৌথবাহিনী।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে মণিপুরে শুরু হয় মেতেই-কুকি জাতিদাঙ্গা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই সংঘাতে। এক হাজারেরও বেশি মানুষ আহত। নিখোঁজ ৩২ জন। প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া। দুষ্কৃতীরা পাঁচ হাজারেরও বেশি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। ৩৮৬টি ধর্মীয়স্থান মৌলবাদীদের রোষের মুখে পড়েছে। অশান্তি আগের তুলনায় কমলেও এবছরও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে পারেনি উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি।
প্রথম দফা, ১৯ এপ্রিল মণিপুরের একটি কেন্দ্রে সম্পূর্ণ এবং আংশিকভাবে আরেকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। আউটার মণিপুরে প্রথম দফায় ভোট করানো হয় আংশিকভাবে। গতকাল সম্পন্ন হয় দ্বিতীয় এবং সেরাজ্যে শেষ দফার ভোট। আশঙ্কা ছিল ভোটপ্রক্রিয়ায় বাধা দেবে জঙ্গি গোষ্ঠীরা। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।