ইস্টবেঙ্গল কোচের পদ থেকে ইস্তফা কুয়াদ্রাতের, অন্তর্র্বতী কোচ বিনো

ইস্টবেঙ্গলের কোচের পদ থেকে সরে গেলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। ইস্তফা দিলেন স্প্যানিশ কোচ। সোমবার দুপুরে ক্লাবের ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। অন্তর্র্বতী কোচ বিনো জর্জ। শনিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ লাল হলুদের। সেই ম্যাচে কোচের দায়িত্বে থাকবেন ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলের কোচ। যতক্ষণ না নতুন হেড কোচ নিয়োগ করা হচ্ছে, কোচের দায়িত্ব সামলাবেন বিনো। পুজোর আগে একটাই ম্যাচ রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। তারপর ১৯ অক্টোবর ডার্বি। বড় ম্যাচের আগে নতুন কোচ যোগ দেবে। আইএসএলের শুরুতে টানা তিন ম্যাচ হারার পর আগের দিন যুবভারতীতে ‘গো ব্যাক কুয়াদ্রাত’ স্লোগান ওঠে। প্রথমে তাঁকে এত তাড়াতাড়ি সরিয়ে দিতে রাজি ছিল না ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সমর্থকদের চাপ বাড়তে থাকে। শুক্রবার গোয়ার কাছে হারার পর অবশ্য পদত্যাগের কোনও ইঙ্গিত দেননি কুয়াদ্রাত। জানান, দল একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিতে যাচ্ছে। কিন্তু গত দু’দিনে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বৈঠক হয় স্প্যানিশ কোচের। তারপরই ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ করে সরে যেতে রাজি হন কুয়াদ্রাত।
ইমামি গ্রুপের পক্ষ থেকে বিভাস বর্ধন আগরওয়াল বলেন, ‘দীর্ঘ বছর পর ইস্টবেঙ্গলকে সুপার কাপ দেওয়ার জন্য আমরা কার্লেস কুয়াদ্রাতের কাছে কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা রইল।’ প্রসঙ্গত, কুয়াদ্রাতের হাত ধরেই দীর্ঘ ১২ বছর পর ইস্টবেঙ্গলে ট্রফির খরা কেটেছিল। কুয়াদ্রাতকে মাথায় তুলে নাচানাচি করে সমর্থকরা। রাতারাতি তাঁকে কোচ থেকে ‘ম্যাজিশিয়ান’, পরবর্তীতে ‘প্রফেসর’ বানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গত আইএসএলে সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এবার তাঁর পছন্দের দল করা হয়। গত আইএসএল এবং কলকাতা লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে সই করানো হয়। কিন্তু তাসত্ত্বেও শুরুতেই হোঁচট খায় ইস্টবেঙ্গল। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে তাঁর প্লেয়ার পরিবর্তন, ম্যাচ রিডিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দলের ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। গোয়া ম্যাচ কুয়াদ্রাতের কাছে ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল। কিন্তু ঘরের মাঠেও প্রথম ম্যাচ হারে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের শুরুতেই হারের হ্যাটট্রিক। টানা পাঁচটা হার। এরপর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কুয়াদ্রাত। নতুন কোচের পদের জন্য মাঝে সঞ্জর সেনের নাম শোনা গেলেও, তিনি সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার কোচ হয়েছেন। তাই তাঁর আপাতত ইস্টবেঙ্গল কোচ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। শোনা যাচ্ছে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের নাম। বর্তমানে ইন্টার কাশির কোচ তিনি। কুয়াদ্রাতকে কোচ করার আগে তাঁর সঙ্গে কথা অনেকদূর এগিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু বয়সের কথা মাথায় রেখে পিছিয়ে যায় কর্তারা। শেষপর্যন্ত কি দলকে বাঁচাতে হাবাসের হাতেই দায়িত্ব দেওয়া হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − five =