কলকাতা: প্রথমে বিতর্ক ছিল মুকুল রায়কে নিয়ে। এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে এবার নতুন বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, কৃষ্ণ কল্যাণী বর্তমানে তৃণমূলের সদস্য। অন্য দিকে, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপিতেই আছেন। তিনি অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন বলে বিধানসভার কোনও নথিতে উল্লেখ নেই। নতুন পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবে কৃষ্ণ কল্যাণী নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সরব হয়েছে বিজেপি। আদালতে যাওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের তরফে। স্পিকারের দাবি, তিনি যা করেছেন, তা আইন মেনেই।এ দিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আদালতের জায়গা সকলের জন্য খোলা। রাজনীতির ময়দানে লড়াই হোক। যা করেছি আইন মেনে করেছি। অফিসিয়ালি উনি বিজেপির সদস্য। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন কি না, বিধানসভার নথিতে তেমন তথ্য নেই।’ তাঁর দাবি, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে কাকে নেওয়া হবে, সেটা দেখা স্পিকারের এক্তিয়ারে পড়ে। স্পিকার উল্লেখ করেছেন, বিধানসভার ভিতরে উনি বিজেপির একজন বিধায়ক হিসেবেই কাজ করেন।
কিছুদিন আগেই পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন বিধায়ক মুকুল রায়। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপরই কৃষ্ণ কল্যাণীর নাম ঘিরে জল্পনা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাতেই শুরু হয়েছে বিপত্তি। প্রথম থেকেই বিজেপি দাবি করেছিল, বিধানসভার রীতি অনুযায়ী, পিএসি চেয়ারম্যান হন বিরোধী দলের কোনও বিধায়ক। কিন্তু কৃষ্ণ কল্যাণী বর্তমানে তৃণমূলের সদস্য। কারণ গত বছর দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শাসক দলের দাবি, বিধানসভার নথি অনুযায়ী, কৃষ্ণ কল্যাণী এখনও বিজেপির বিধায়ক, তাই তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের ক্ষেত্রেও একই রকম সমস্যা হয়েছিল। পরে দীর্ঘ শুনানির পর স্পিকার জানিয়ে দেন, মুকুল রায় এখনও বিজেপিতেই আছেন।