নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: চাঁদে যাওয়ার যুদ্ধ জয় করেছে ভারত! যুদ্ধ জয় করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানী বাঁকুড়ার কৃশানু নন্দী। চন্দ্রযান থ্রি-র সাফল্যের পর একটি আবেগঘন বার্তা পাঠালেন নিজের স্কুলের কচিকাচা ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের উদ্দেশে। নিজের স্কুলের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে গলা কেঁপে উঠছিল কৃশানু নন্দীর বারবার।
মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন ইতিহাস রচনা করেছে ইসরো আর তাতে যোগদান করেছেন বাঁকুড়ার কৃশানু নন্দী। এত বড় একটি অ্যাচিভমেন্টের পরও নিজেকে একটি অতি সাধারণ ছাত্র বলে দাবি করলেন তিনি। ছোট ছোট ভাই বোনেদের এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। এদিন ছাতনা কমলপুর নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের স্পিকারে শোনানো হল কৃশানু নন্দীর এক্সক্লুসিভ বার্তা। বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী কৃশানু নন্দীর কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে স্কুলের কচিকাচারা বিজ্ঞানমনস্কতার দিকে এগিয়ে চলেছেন। কমলপুর নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন কৃশানু নন্দী।
স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে বরাবরই যোগাযোগ রাখতেন কৃশানু নন্দী। শিক্ষক দিবসে ফোন করতেন তিনি। বিক্রম ল্যান্ড করার আগেও কমলপুর বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষককে ফোন করেছিলেন কৃশানু। ফোন করে বলেছিলেন, ‘এবার আর আমরা ফেল করব না।’ অর্থাৎ এই সাফল্য যেন আগে থেকেই দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। স্কুলের এক শিক্ষক জানান, কমলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সেসময় জেলার সবথেকে ভালো সায়েন্স নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করানো হত এবং এখনও ছাত্রছাত্রীদের খুব ভালোভাবেই সায়েন্স পড়ানো হয়। তাই মাধ্যমিকের পর সায়েন্স নিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে পড়তে ছাতনার কমলপুরে ভর্তি হন কৃশানু এবং হস্টেলে থেকে তিনি পড়াশোনা করেন।
কৃশানুর স্কুল কমলপুর নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা ওকে বলেছি আসার জন্য। কিন্তু সামনেই বোধহয় সূর্যযানের একটি প্রজেক্ট আছে।’ চাঁদের পর এবার তা হলে কি সূর্যতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন বাঁকুড়ার এই সন্তান!