শনিবার সকালে গ্রেপ্তার কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী

শনিবার সকাল হতে না হতেই গ্রেপ্তার কংগ্রেস নেতা তথা কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। শনিবার ভোরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় বড়তলা থানার পুলিশ। এরপর  দীর্ঘক্ষণ চলে তল্লাশি। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।

এই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে  গ্রেফতারির জামিন অযোগ্য ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়। ১২০ বি – অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র , ৩৫৪ এ, ৫০৩-অপরাধজনক মানহানি, ৫০৪- শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানি দেওয়া, ৫০৫- গুজব ছড়ানো, ৫০৯- কটুক্তি, এই ধারাগুলিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার সূত্রপাত সাগরদিঘি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।  সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই পালটা তৃণমূলকে আক্রমণ করেন কৌস্তভ। তিনি একটি বই ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। এরপরই শনিবার তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালায় বড়তলা থানার পুলিশ। এরপর সকাল ৮টা নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিন তল্লাশি চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় কৌস্তভকে। তিনি। কৌস্তভ জানান, ‘আমাকে ভয় পাবে তা বুঝতে পারিনি। এটা নৈতিক জয়। রাজ্যে আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন চলছে।’ এদিকে তাঁর এই গ্রেপ্তারির পরেই সোশাল মিডিয়ায় অনুরাগীরা মুক্তির দাবি তোলেন। শুরু হয় হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডও।

অন্যদিকে, কৌস্তভের গ্রেফতারি নিয়ে সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। বড়তলা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস সমর্থকরা। কৌস্তভের মুক্তির দাবি করেন তারা। কৌস্তভের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দেগে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘কারও পারিবারিক শিক্ষা থাকলে সে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারে না। আমি চাইব ও যেন ক্ষমা চাই। কারণ এসব করে দু’এক দিন আলোচনায় আসা যায়। রাজনীতিতে জমি শক্ত করা যায় না।’ তবে কৌস্তভের পাশে দাঁড়ান বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

এদিকে কৌস্তভের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ জানান, ‘কেউ শুরু করলে তার উত্তর দেওয়াটা স্বাভাবিক। তবে সবকিছুর একটা সীমা থাকা উচিত। ওর কাছে যদি কোনও তথ্য থাকে সেক্ষেত্রে তা সামনে নিয়ে আসা উচিত।‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =