ব্যাটিং বিপর্যয়ে মুম্বইয়ে ‘নাইট-মেয়ার’ কলকাতার

অজিঙ্ক রাহানের অনবদ্য একটা ক্যাচ। তবে গ্যালারিতে কেকেআর সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ নেই। হবেই বা কী করে! দলের হার যে নিশ্চিত, ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরই বুঝে গিয়েছিলেন। কোনও ম্যাজিক হয় কি না, সেই আশাতেই ছিলেন কেকেআর সমর্থকরা। রাহানে ক্যাচটা নিতে গ্যালারিতে আনন্দ না থাকলেও কেকেআর চিয়ারলিডারদের মুখে হাসি। ব্যাটিং বিপর্যয়ে সেই অর্থে স্টেজে ওঠার বা সেলিব্রেশনের সুযোগই পাননি। রাসেল আরও একটা উইকেট নিতে একটু আনন্দের সুযোগ পেলেন। আর সুযোগ এল না। এই ম্যাচ যত তাড়াতাড়ি ভুলতে পারে কেকেআর, ততই যেন ভালো।

ওয়াংখেড়েতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পরিসংখ্য়ান রীতিমতো হতাশার। তবে গত মরসুমে দুই লেগেই মুম্বইকে হারানোয় একটা আত্মবিশ্বাস ছিল। টস জিতে হার্দিক পান্ডিয়া রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। আত্মবিশ্বাসটা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ট্রেন্ট বোল্ট, দীপক চাহার এবং অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা অশ্বিনী কুমার। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে কেকেআরের। তাও মুম্বইয়ের জোড়া ক্যাচ ও একটি রান আউট মিসে একশো পেরোয় কেকেআর। ব্যাটিংয়েই ইমপ্যাক্ট পরিবর্ত নামাতে হয়। তাতেও ভাঙন আটকানো যায়নি। মাত্র ১১৬ রানেই অলআউট। সহজ কথায় মুম্বইয়ে নাইট-মেয়ার।

রান তাড়ায় প্রথম দু-ওভারে প্রবল অস্বস্তিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কেকেআরের বাঁ হাতি পেসার স্পেন্সর জনসন ঠিক যেন স্টার্কের মতোই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন। ইনসুইং, আউট সুইং। দ্বিতীয় ওভারে হর্ষিত রানাও দুর্দান্ত বোলিং করেন। ব্যস, ওখানেই সমস্ত আনন্দ শেষ বলা যায়। রোহিতের উইকেট নিলেও রায়ান রিকলটনের ৪১ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস, সূর্যকুমার যাদবের ক্যামিও (৯ বলে ২৭)। মাত্র ১২.৫ ওভারের মধ্যেই জয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। জোড়া হার দিয়ে মরসুম শুরু হয়েছিল মুম্বইয়ের। ঘরে ফিরেই জয়েও ফিরল। হার্দিকের দুর্দান্ত ক্যাপ্টেন্সিকেও কুর্নিশ জানাতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 2 =