লিগ পর্ব শেষ। এ বার ট্রফির দিকে আরও একটু এগিয়ে যাওয়া। ব্যর্থ হলে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এখানে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ কম। প্রত্যেকটা ধাপ খুবই কঠিন। কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে অবশ্য জোড়া সুযোগ থাকছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম কোয়ালিফায়ারে আজ মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জিতলে প্রথম সুযোগেই ফাইনালে পৌঁছনো যাবে। হারলে দ্বিতীয় সুযোগ থাকছে। এই দ্বিতীয় সুযোগ শুধুমাত্র পয়েন্ট টেবলে প্রথম দুইয়ে থাকা দলের জন্যই। ম্যাচ ভেস্তে গেলে! লিগ টেবলে শীর্ষস্থানে শেষ করায় ফাইনাল নিশ্চিত হবে কলকাতার। আর ম্যাচ হলে! ব্যাটারদের হাতেই কি চাবি?
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ মরসুমের সবচেয়ে ধারাবাহিক কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেটা অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে। উল্টোদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এ বার আলোচনায় যাদের বিধ্বংসী ব্যাটিং। লিগ পর্বে কার্যত প্রতি ম্যাচেই ব্যাটিং ঝড় দেখা গিয়েছে। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচেও ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ২১৫ রানের টার্গেট তাড়া করে জিতেছে সানরাইজার্স। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ডও সানরাইজার্সের দখলেই।
গত ম্যাচে ট্রাভিস হেড গোল্ডেন ডাক হয়েছিলেন। বাকি সব ম্যাচেই প্রতিপক্ষর আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে সানরাইজার্সের ওপেনিং। তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মা বিধ্বংসী ফর্মে। তিন নম্বর নিয়ে একটু সমস্যায় ছিল সানরাইজার্স। গত ম্যাচে রাহুল ত্রিপাঠী সেই মিসিং লিঙ্কটা যেন জোড়া লাগিয়েছেন। তেমনই মিডল ও লোয়ার অর্ডারে হেনরিখ ক্লাসেন, নীতীশ রেড্ডিদের কথা ভুললে চলবে না।
কলকাতা নাইট রাইডার্সে এই ম্যাচের আগে মূল চিন্তা ওপেনিং। মনে হতেই পারে, এ বার তো কেকেআরের ওপেনিং জুটি সুপার হিট। কিন্তু ফিল সল্টকে দেশে ফিরতে হওয়ায় ওপেনিং জুটি বদলাতে হচ্ছে। সল্টের পরিবর্তে নারিনের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন গুরবাজ। গত মরসুমে নিয়মিত খেলেছেন। এ বার এক ম্যাচও সুযোগ পাননি। লিগ পর্বে কেকেআরের শেষ দুটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। ফলে ম্যাচ প্র্যাক্টিস পাননি গুরবাজ।
মরসুমের নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ইডেন গার্ডেন্সে শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল কলকাতা। তবে মরসুমের প্রথম ম্যাচে অনেক কিছুই অগোছালো থাকে। এ বার কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ। দু-দলই প্রস্তুত। চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ম্যাচের অপেক্ষা। দু-দলের ব্যাটিংই যে ফর্মে রয়েছে, চার-ছয়ের বন্যা হবে, প্রত্যাশা করাই যায়।