‘চাকরি চুরি’র টাকা সরাতে অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া’ নেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরেটের সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির আর্থিক লেনদেন হয়েছে বিভিন্ন ভাবে। কখনও নগদে, কখনও তা হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। ঠিক যেভাবে এর আগে অনলাইন গেমিং অ্যাপ ই-নাগেটস প্রতারণায় অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার তথ্য উঠে এসেছিল। নির্দিষ্ট কমিশনের ভিত্তিতেই এই অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার তথ্য সামনে আসে। এক্ষেত্রেও তেমনই কিছু ঘটেছে বলেই ইডির তদন্তকারীরা মনে করছেন। ইডি ইতিমধ্যেই বিস্তারিত খোঁজ খবর শুরু করেছে।
এদিকে ইডি- সূত্রে খবর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যবহার করা হয়েছে ভাড়া করা অ্যাকাউন্টও। ইডির সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল বিপুল অর্থের লেনদেন করার জন্য। এর বদলে দেওয়া হতো কমিশনও।
ইডি সূত্রে খবর, এই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। একটি বড় চেইনের মাধ্যমে চলেছে এই কেলেঙ্কারি চক্র। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে ইডি। সিবিআইয়ের হাতেও গ্রেপ্তার হন আরও অনেকে। এই তালিকায় সবার আগে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও আদালতের দাবি, শিকড় এখনও আরও গভীরে। আর তা নিয়েই চলছে তথ্যপ্রমাণ, সাক্ষ্যগ্রহণের পালা। এদিকে এই তদন্তের জেরে বহু চাকরির সুপারিশ বাতিল হয়েছে ইতিমধ্যএই। চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কায় দিন কাটছে অনেকেরই। এবার নয়া তথ্য ইডির হাতে। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তোলা টাকা এরকমই ‘ভাড়া’ করা অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে বলেও ইডি মনে করছে।
সূত্রের খবর, এই ভাড়ার অ্যাকাউন্ট কাদের নামে রয়েছে, সেই তালিকা তৈরি করে তাঁদের সঙ্গেও কথা বলবে ইডি। কাদের কথায় এই অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়া হয়েছে, কোন শর্তে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল অ্যাকাউন্ট, কীভাবে লেনদেন হতো টাকা, পরিমাণই বা কত ছিল এই সমস্ত উত্তরই জানতে চাইতে পারে ইডি।