কলকাতা পুলিশের হুক্কা বিরোধী অভিযান, গ্রেপ্তার ৩

কলকাতা: স্বয়ং মেয়র ফিরহাদ হাকিম কলকাতায় নিষিদ্ধ করেছেন হুক্কা বার। আর এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে শুক্রবার।  এদিন স্পষ্ট তিনি জানান, কোনওভাবেই আর শহরে হুক্কা পার্লার চালানো যাবে না। বিক্রি করা যাবে না নেশার এই দ্রব্য। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি হতেই সক্রিয় হয় কলকাতা পুলিশও।  লালবাজার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত এবং শনিবার সকালে বেআইনি এই সমস্ত হুক্কা বারের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন পুলিশ আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই হুক্কা বিক্রির অপরাধে ৩ জনকে গ্রপ্তারও করে কলকাতা পুলিশ।

লালবাজার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত এবং শনিবার সকাল থেকে শহরের একাধিক অঞ্চলে হুক্কা বারগুলিতে অভিযান চালান কলকাতা পুলিশের আধিকারিকেরা। একাধিক অভিজাত এলাকার হুক্কা পার্লারে পুলিশি এই অভিযান চলে। এই রেইড টিমে ছিলেন লালবাজারের অ্যান্টি রাউডি স্কোয়াডের কর্মী এবং আধিকারিকেরাই। ছিলেন গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকেরাও। মধ্যরাত পর্যন্ত বেআইনিভাবে খোলা রাখা একাধিক রেস্তরাঁয় হানা দেন তাঁরা। এই সব জায়গায় নিষধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরও হুক্কা বিক্রি করার অভিযোগ আনা হয় কলকাতা পুল্শর তরফ থেকে।

কলকাতা পুলিশ  সূত্রে জানা গিয়েছে, সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে শহরের একটি অভিজাত এলাকার রেস্তোরাঁয় হানা দেয় কলকাতা পুলিশের একটি দল। খবর ছিল, ‘ফাইভ পয়েন্ট’ নামে ওই রেস্তরাঁর গ্রাউন্ড ফ্লোরে বেআইনি হুক্কা বার চালানো হচ্ছে। ১১৪/৪এ, বিধান সরণী এলাকার ওই রেস্তোরাঁর মালিককে গ্রেপ্তারও করা হয়।  এদিকে টালা থানায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করা হয়। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের একটি গোয়েন্দা টিম ১১৫ নম্বর মুজফফর আহমেদ রোডে ‘ড্যাডিস ক্যাফে’ নামে একটি হুক্কা বারেও হানা দেয়। পার্ক স্ট্রিট থানার অন্তর্গত এই ক্যাফেতেও কোনওরকম নির্দিষ্ট কাগজ ছাড়াই বেআইনিভাবে হুক্কা বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। একাধিক তরুণ গ্রাহককে এই হুক্কা বিক্রি করার অপরাধে ওই ক্যাফের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করা হয় এদিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − nineteen =