‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র কর্পোরেট অফিসে ফাইল ডাউনলোডের ঘটনায় ইডি-র রিপোর্ট নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল কলকাতা পুলিশ। সিএফএসএল অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির রিপোর্টের পরেও ইডি-র জবাব নিয়ে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা পুলিশ। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ডাউনলোড করা বিতর্কিত ১৬টি ফাইল নিয়ে ইডি-র বক্তব্য ছিল, ইডি আধিকারিক আসলে তাঁর মেয়ের জন্য কলকাতায় হস্টেলের খোঁজ করছিলেন। সেই মর্মে সিএফএসএল কলকাতা হাইকোর্টে তাদের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও জমা করে। কিন্তু লালবাজারের বক্তব্য, রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সবক’টি এক্সেল ফাইলই বয়েজ় হস্টেলের। আর এখানেই লালবাজারের কলকাতা পুলিশ আধিকারিকদের প্রশ্ন, একজন অফিসার মেয়ের জন্য বয়েজ় হস্টেলের ফাইল নামালেন কেন তা নিয়েই। আর তা হাইকোর্টে পেশ করা রিপোর্টে জানানোও হল লালবাজারের তরফ থেকে। কলকাতা পুলিশের আরও দাবি, এই বিষয়ে তারা ইডি আধিকারিকদের কাছে জানতে চান। কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে বিষয়টি স্পষ্ট করার প্রয়োজন মনে করা হয়নি বলে কলকাতা পুলিশ রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। এছাড়াও কলকাতা পুলিশের দাবি, ইডি অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা এসওপি মানেনি।
প্রসঙ্গত, বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে বিতর্কিত ১৬টি ফাইলে ঠিক কী রয়েছে, তার হার্ড কপি সিল বন্ধ খামে জমা করে সিএফএসএল। তাতে সিএফএসএল দাবি করে, ১৬টি ফাইলেই রয়েছে কলকাতার সমস্ত হস্টেলের তালিকা। প্রাথমিকভাবে ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা করেছিল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি টিম। তাতেও এই বিষয়টিই উল্লেখ করা ছিল।
তখনই কলকাতা পুলিশের তরফে আরও একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, যে হস্টেলগুলির তালিকা রয়েছে ফাইলে, সবকটাই বয়েজ় হস্টেল। লালবাজারের প্রশ্ন, মেয়ের জন্য বয়েজ় হস্টেল কেন খোঁজ করবেন ইডি আধিকারিক। যদিও এরই মধ্যে আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য। সেদিন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে সেই রাতে ইডি আধিকারিকদের যে দল তল্লাশি চালিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে এক আধিকারিক গুয়াহাটির অফিসে যোগ দেন। তা নিয়েও জল্পনা ছড়ায়। যদিও ইডি দাবি করেন, ওই ঘটনার সঙ্গে অফিসারের গুয়াহাটি যোগ দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ২ বছর আগেই ওই অফিসারের গুয়াহাটি বদলি হয়েছিল। আবার সেখানে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।