নওশাদের মোবাইল থেকে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখতে চেন্নাইয়ে কলকাতা পুলিশের দল

নওশাদ সিদ্দিকির মোবাইল থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখতে এবার চেন্নাইয়ে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের এক বিশেষ দল। সূত্রের দাবি, নওশাদের মোবাইলে একাধিক আর্থিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে বলে দাবি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত চ্যাটের বিষয়ে এক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেন্নাই গিয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল। অন্যদিকে, পুলিশের দাবি, নওশাদ সিদ্দিকির দুটি মোবাইল থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক নেতা এবং চেন্নাইয়ের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে লম্বা চ্যাট পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির মোবাইলে পাওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে চেন্নাই সফরে কলকাতা পুলিশ। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোন ঘেঁটে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। মামলায় সরকার আইনজীবী নওশাদের বিরুদ্ধে হাওয়ালা যোগের অভিযোগ আনেন। তাঁর দাবি ছিল, আইএসএফ বিধায়কের মোবাইলে একাধিক প্রভাবশালীর তথ্য মিলেছে।

এদিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১ নির্বাচনের আগে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে টাকার লেনদেন সংক্রান্ত লম্বা কথোপকথনের প্রমাণ মিলেছে।সে বিষয়ে ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। আর সেই কারণেই চেন্নাইয়ে পাড়ি দিয়েছে কলকাতা পুলিশের দল। একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে,ওই ব্যবসায়ী আদতে মেদিনীপুরের বাসিন্দা। চেন্নাইয়ে সোনার ব্যবসা করেন বলে সূত্রে খবর মিলছে।

নওশাদ ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। কলকাতার ধর্মতলায় আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবসের জন্য অশান্তির অভিযোগে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। বর্তমানে ১৪ দিনের জেল হেপাজতে ভাঙড়ের এই আইএসএফ বিধায়ক। এরই মাঝে তাঁর দুই ফোন নিয়ে একাধিক অভিযোগ এনেছে পুলিশ। নওশাদের দুটি ফোনকে ফরেনসিক পরীক্ষারও আর্জি জানিয়েছে। কলকাতার মেয়র ববি হাকিম এপ্রসঙ্গে নওশাদকে আক্রমণ করে দাবি করেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে তা কোথা থেকে এসেছে জানার চেষ্টা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। এদিকে আবার নওশাদের সঙ্গে বিজেপি  যোগেরও প্রসঙ্গ টানেন ফিরহাদ হাকিম। কাণ, যে বিজেপির সঙ্গে মতাদর্শে একেবারে ভিন্ন মেরুতে দাঁড়িয়ে এই আইএসএফ, ধর্মতলার ঘটনার পর সেই বিজেপিরই হেভিওয়েট নেতাদের দেখা গেছে আইএসএফ-এর পাশে দাঁড়াতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =