প্লে-অফে যাওয়া সম্ভব হবে কিনা নিশ্চিত নয়, তবে আপাতত টিকে রইল কলকাতা নাইট রাইডার্স। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া কলকাতা নাইট রাইডার্সের হারানোর কিছু ছিল না। তবে প্লে-অফের ক্ষীণ আশাটুকু বাঁচিয়ে রাখতে জিততেই হত। সেই কাজ সহজেই করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বোর্ডে ১৪৫ রানের লক্ষ্য। চিপকের মাঠে এই রান কম নয়। তার ওপর পাওয়ার প্লে-তেই তিন উইকেট হারানো। সেখান থেকে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়াল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রিঙ্কু সিং এবং অধিনায়ক নীতীশ রানার হাফসেঞ্চুরি। ৯ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জিতল কেকেআর। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ঘরের মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে তিনি কি ভুল করলেন? যদিও টসের পর কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানাও জানিয়েছিলেন, টস জিতে তিনিও ব্যাটিং নিতেন। সিদ্ধান্ত ভুল হোক বা ঠিক, কেকেআর স্পিনাররা অনবদ্য বোলিং করেন শুরুর দিকে। বিশেষ করে বলতে হয় সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তীর কথা। বরুণ এ মরসুমে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছেন। নারিন ধারাবাহিক ছিলেন না। তবে এই ম্যাচে অনবদ্য বোলিং করলেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন নারিন। শেষ দিকে শিবম দুবে-রবীন্দ্র জাডেজা জুটির অনবদ্য ব্যাটিংয়ে কেকেআরকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দেয় চেন্নাই সুপার কিংস। রান তাড়ায় প্রবল চাপে পড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মাত্র ৩৩ রানেই ৩ উইকেট পড়ে। ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে পাঠানো হয় রিঙ্কু সিংকে। রাসেলের আগে পাঠানো হয়। নীতীশ রানার সঙ্গে তাঁর ৯৯ রানের জুটি, এই দুই ব্যাটারের অর্ধশতরান কেকেআরের জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দেয়। চেন্নাইকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় একটি ক্যাচ মিসও। নীতীশ রানার ক্যাচ ফেলেন মাতিসা পাথিরানা। নীতীশ সে সময় ১৮ রানে ব্যাট করছিলেন। শেষ অবধি ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানা।