উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তই বৈধ, রায় প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের

রাজ্যের ১১ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বৈধ, বুধবার এমনই রায় দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের। ফলে হাইকোর্টে এদিন এক বড় ধাক্কা খেল রাজ্য। এই রায়ে বলা হয় উপাচার্যদের বেতন বন্ধ করা যাবে না, বকেয়া সহ সমস্ত বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে তিন মাসের অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের মেয়াদ শেষে অস্থায়ীভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। এরই প্রেক্ষিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই আচার্য এই নিয়োগ করেছেন। রাজ্যপালের দ্বারা নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে মাত্র একজন বাদে বাকি দশজনই উপাচার্য পদে কাজে যোগ দেন। এরপরেই নিযুক্ত উপাচার্যদের নির্দেশ দেওয়া হয় উপাচার্য পদের বেতন ও ভাতা গ্রহণ না করতে। এই মর্মে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে চিঠিও পৌঁছায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের কাছে। তাতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও তার বিধি মেনে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই নিয়োগ করা হয়েছে। যা আইনত বৈধ নয়। এরপরই বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। রাজ্যপালের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাকারীর নাম সনৎকুমার ঘোষ। তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন অধ্যাপক। সনৎকুমার ঘোষের বক্তব্য, রাজ্যপাল যে উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শ নেওয়া হয়নি। মানা হয়নি কোনও আইন। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিয়োগের যে সময়সীমা তা অগ্রাহ্য করেই রাজ্যপাল নতুন করে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই মামলাই বুধবার খারিজ করে আদালত। রাজ্য যে ভাবে এই আবেদনকে সমর্থন করেছিল সেই বিষয়টিও সঠিক নয় বলে মন্তব্য আদালতের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − two =