আসন্ন স্থানীয় ক্রিকেট মরশুমকে সামনে রেখে দল গঠন শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই তালিকায় প্রথম সারিতে নাম লিখিয়েছে মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব। সবুজ-মেরুন শিবির থেকে মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নতুন মরশুমে একটি শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ভারতীয় ক্রিকেটে মোহনবাগানের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ। সেই ধারাকে বজায় রাখতে আমরা গর্বের সঙ্গে আসন্ন মরশুমের জন্য দল ঘোষণা করছি।”
এই মরশুমে দলে ভরসা রাখা হয়েছে অভিজ্ঞতা এবং তরুণ প্রতিভার মিশ্রণে। অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অনুষ্টুপ মজুমদার, সাকির হাবিব গান্ধী, অরিন্দম ঘোষ, অভিষেক রামন, বিবেক সিং, আমির গণি, কাইফ আহমেদ, প্রদীপ্ত প্রামাণিকের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা রয়েছেন দলে। পাশাপাশি স্থানীয় ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ যেমন রাজকুমার পাল, জেসাল কারিয়া, প্রিনান দত্ত এবং রবি কুমারও থাকছেন স্কোয়াডে।
গত বছরের দল থেকে শুধুমাত্র জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত মুখ পেসার ঈশান পোড়েলকে ধরে রেখেছে মোহনবাগান। অন্যদিকে, বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে বিদায় জানিয়ে একেবারে নতুন রূপে গড়ে তোলা হয়েছে দলকে। দলের দায়িত্বে কোচ হিসেবে থাকছেন সঞ্জীব গোয়েল। ফলে কোচ ও খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে আসন্ন মরশুমে সাফল্য এনে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এগোতে চাইছে শিবির।
সবুজ-মেরুন শিবিরের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মহামেডানও বুধবার সিএবি-তে সই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। তাদের দলে এ বছরও ভরসা রাখা হয়েছে পুরনো কিছু মুখের উপর। সাদা-কালো জার্সি গায়ে নামবেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, নীলকান্ত দাস, বি অমিত, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় এবং গীতিময় বসুরা। ফলে দুই প্রধান ক্লাবের লড়াই নিয়েই ইতিমধ্যেই কলকাতা ময়দানে তৈরি হচ্ছে উত্তেজনা।
এছাড়াও এ মরশুমে বারিশা স্পোর্টিং ক্লাব তাদের শক্তি ধরে রেখেছে। অভিষেক পোড়েল, করণ লাল এবং সুমন্ত গুপ্তকে এবারও দেখা যাবে তাদের জার্সিতে। অন্যদিকে, প্রতিভাবান জয়জিৎ বসু সই করেছেন কালীঘাট ক্লাবের হয়ে। ফলে ক্লাব ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও জমজমাট হয়ে উঠতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসন্ন মরশুমে স্থানীয় ক্রিকেটের মান নিয়ে আশাবাদী ক্রিকেট মহল। একদিকে মোহনবাগানের নতুন সাজানো দল, অন্যদিকে মহামেডানের ঐতিহ্য বজায় রাখার লড়াই—সব মিলিয়ে কলকাতা ময়দান জুড়ে দর্শকদের জন্য অপেক্ষা করছে উত্তেজনাপূর্ণ মরশুম। ক্রীড়া মহলের ধারণা, এবার দলগুলির ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড ও চমকপ্রদ সই প্রক্রিয়া স্থানীয় ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।

