আইপিএলের সৌজন্যে একের পর এক থ্রিলার দেখেছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। কিছু লো-স্কোরিং ম্যাচ জমে উঠছে। তেমনই কিছু হাই-স্কোর তাড়া করেও জিতছে দলগুলি। এ বারের টুর্নামেন্টে বেশ কিছু রোমাঞ্চকর ম্যাচ দেখা গিয়েছে। আরও একবার চূড়ান্ত নাটক দেখা গেল। আজ এ বারের টুর্নামেন্টে ছিল ৪৭তম ম্যাচ। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ বারের আইপিএলে ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়েছিল সানরাইজার্স। ফিরতি ম্যাচেও নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের হাতেই। কিন্তু শেষ ওভারে নাটকীয় জয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের। জেতার মতো খেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স! হয়তো নয়। ব্যাটিংয়ে টপ অর্ডার ব্যর্থতা গত মরসুম থেকেই চলছে।সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টস জেতেন কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানা। ব্যাট করবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। একাদশে ফেরানো হয় জেসন রয়কে। জেসন রয় অনবদ্য ছন্দে ছিলেন। রহমানুল্লা গুরবাজ গত ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন। কিন্তু জুটিতে দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ৷ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আউট গুরবাজ। পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কেকেআর। অধিনায়ক নীতীশ রানা এবং রিঙ্কু সিং জুটি বড় রানের ভরসা দিয়েছিল কেকেআর শিবিরে। যদিও তা হল না। অন্তত সানরাইজার্সের ব্যাটিং দেখে কেকেআরের স্কোর খুবই কম মনে হয়েছে। চতুর্থ উইকেটে ৪০ বলে ৬১ রান যোগ করেন নীতীশ-রিঙ্কু। এই জুটি ভাঙতেই খেই হারায়। এইডেন মার্করাম নিজের বোলিংয়ে অনবদ্য ক্যাচে ফেরান নীতীশ রানাকে। এ বারের মরসুমে বেশ কিছু ম্যাচেই সানরাইজার্সের ক্যাচিং অভাবনীয় হয়েছে। মার্করামের ক্যাচটিও তাই। পেছন দিকে প্রায় ২৫ মিটার মতো দৌড়ে ডাইভে ক্যাচ নেন মার্করাম। কেকেআর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭১ রান করে। রিঙ্কু সিং ৪৬ এবং নীতীশ রানা ৪২ রান করেন। রান তাড়ায় শেষ ২ ওভারে জমে ওঠে ম্যাচ। বৈভব অরোরার বোলিংয়ে কট বিহাইন্ড মার্কো জানসেন। ক্রিজে নেমেই বাউন্ডারি ভুবনেশ্বর কুমারের। ক্রিজে সঙ্গী আব্দুল সামাদ। নো বল নাটক। শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ রান। এমন পরিস্থিতিতে বোলিংয়ে বরুণ চক্রবর্তী। তৃতীয় বলে সামাদের উইকেট নেন বরুণ। শেষ তিন বলে ৭ রানের লক্ষ্য। ক্রিজে মায়াঙ্ক মার্কন্ডে। শেষ বলে দরকার ৬ রান। স্ট্রাইকে ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু বরুণের ডট বলে ৫ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় কেকেআরের।