কুখ্যাত নিঠারি হত্যা মামলায় প্রধান দুই দোষী বেকসুর খালাস করল দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এমনকী তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিল করে দেওয়া হয় এ দিন। ২০০৫-২০০৬ সালে নয়ডায় গণহত্যায় অভিযুক্ত ছিলেন সুরিন্দর কোলি ও মনিন্দর সিং পান্ধের। তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল ট্রায়াল কোর্ট। এ দিন এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে সেই রায় বাতিল করে দেওয়া হয়।
২০০৫ সালে নয়ডার নিঠারি হত্যামামলা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। সুরিন্দর কোলি এবং মণীন্দর সিং পান্ধেররা রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিল সকলের কাছে। বিশেষত কমবয়সিদের কাছে। একের পর এক শিশু, কিশোরী নিখোঁজ এবং শেষমেশ তাদের দেহাবশেষ উদ্ধার। ধারাবাহিক নিখোঁজ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে ২০০৬ সালে নয়ডায় দুই ‘নরখাদকে’র খোঁজ পান তদন্তকারীরা। সিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পারে, এলাকার ছোটদের চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হতো। তারপর দেহাংশ সিদ্ধ করে খাওয়া হতো এবং হাড়গোড় পুঁতে ফেলা হতো মাটিতে। তদন্তে নেমে তাদের ঘর থেকে প্রচুর কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। সিবিআই আদালত এই দুজনের নৃশংস অপরাধের তীব্রতা বিচার করে দোষী সাব্যস্তের পাশাপাশি ফাঁসির সাজা শোনায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যায় দোষীরা। গত মাসে ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি শেষ করে রায়দান স্থগিত রেখেছিল। সোমবার কোলি ও পান্ধেরের ফাঁসি রদ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই বলে এই রায়, হাইকোর্ট সূত্রে খবর।
সুরিন্দর কোলিকে মোট ১২টি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। সবকটি মামলাতেই নিম্ন আদালতে তাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল। সুরিন্দর কোলির সঙ্গী মণীন্দর সিং পান্ধেরকেও দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।