কোহলির পালটা শুভমনের সেঞ্চুরি ছিটকে দিল বেঙ্গালুরুকে, প্লে অফে মুম্বই

বিরাট কোহলির অনবদ্য শতরান, শুভমনের বিধ্বংসী ইনিংস, বিজয় শঙ্করের ভরসা। বিরাটের শতরানে গুজরাট টাইটান্সের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৮ রান। ইনিংস ব্রেকে বিরাট বলেছিলেন, তাঁর মনে হচ্ছে এই রান যথেষ্ঠ। বোলিংয়ে আরসিবির শুরুটাও ভালো হয়। মহম্মদ সিরাজ ফেরান ঋদ্ধিমান সাহাকে। কিন্তু শুভমন গিল ও বিজয় শঙ্করের ইনিংস ক্রমশ আরসিবিকে চাপে ফেলে। শুভমন গিলের সঙ্গে ৭১ বলে ১২৩ রান যোগ করে ফেরেন বিজয় শঙ্কর। শতরানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন বিরাট কোহলি। ভবিষ্যৎ তারকা শুভমন গিলও দারুণ ছন্দে। ২৯ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। শুভমন ক্রিজে থাকায় আশা কমতে থাকে আরসিবির। শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন ছিল গুজরাট টাইটান্সের। শেষ ওভারে ৬ মেরে সে়ঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন গিল। তাঁর ইনিংসে গুজরাটের জয়, আরসিবি ছিটকে গেল। প্লে-অফে চতুর্থ দল হিসেবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। বেঙ্গালুরুর বৃষ্টিই প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়ায় আরসিবির কাছে। বৃষ্টির সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই চলে। এমনকি টসের পরও বৃষ্টি। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। চিন্নাস্বামীর ছোট মাঠে কতটা স্কোর সুরক্ষিত, বলা কঠিন। এ মরসুমে আরসিবির টপ থ্রি ছাড়া কেউই সেভাবে ভরসা দিতে পারেননি। টাইটান্সের বিরুদ্ধে ভালো স্টার্ট দেন বিরাট কোহলি ও ডুপ্লেসি। যদিও ফাফ ডুপ্লেসির ব্যাটে বড় রান এল না। মাত্র ২৮ রানে ফিরলেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অবদান ৫ বলে ১১। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শতরান বিরাট কোহলির। তাঁর ৬১ বলে অপরাজিত ১০১ রানে ১৯৭-৫ স্কোর আরসিবি। দু-শো পেরতে না পারায় চাপ ছিল। শুভমনের ইনিংসের সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছল টাইটান্স। আরসিবির হারে প্লে-অফে জায়গা করে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 6 =