ধোনির ক্রিকেট বুদ্ধির কাছে হার মানল কোহলি

ছোট মাঠে বড় ম্যাচ। দক্ষিণী ডার্বি ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। ম্যাচটাও যে রোমাঞ্চকর হবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। আন্দাজ করা হয়েছিল হাই-স্কোরিং ম্যাচের। সবই হল। পার্থক্য গড়ে দিল ক্যাচ মিস! দু-দলই বেশ কিছু ক্যাচ ফসকেছে। যতই ছোট মাঠ হোক, পাহাড় প্রমাণ চাপ নিয়ে নেমেছিল আরসিবি। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফাফ ডুপ্লেসি। আরসিবিকে ২২৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় চেন্নাই সুপার কিংস। ইনিংসের চতুর্থ বলেই বিরাট কোহলির উইকেট হারানো। মহীপাল লোমরোরের একচি ক্যাচও পড়ে। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। এরপরই ফাফ ডুপ্লেসি-গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড়। আরসিবি ভালো ভাবেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল। তবে ডুপ্লেসি-ম্যাক্সওয়েল জুটি ভাঙতেই ফের চাপে পড়ে আরসিবি। মহম্মদ সিরাজ পাওয়ার প্লে-তে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন। ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন এই ম্যাচেও। পাওয়ার প্লে-তে প্রথম স্পেলে ২ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের উইকেট নেন সিরাজ। যদিও খেই হারায় আরসিবি। অজিঙ্ক-রাহানে ডেভন কনওয়ে বিধ্বংসী জুটি গড়ে। এই জুটি ভেঙে কিছুটা স্বস্তি দেন ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা। রাহানেকে ফেরান তিনি। কিন্তু কনওয়ে ক্রিজে থাকায় চাপ বেড়েই চলে। আর এক তরুণ শিবম দুবেও শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেন। কনওয়ে-দুবে জুটির চাপেই ১৪ তম ওভারে ফেরানো হয় সিরাজকে। তাতেও লাভ হয়নি। এই ওভারে ১৪ রান তোলে সিএসকে। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন হর্ষল প্যাটেল। তাঁর স্লোয়ারে পরাস্থ হন ডেভন কনওয়ে। ৪৫ বলে ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সিএসকের এই কিউয়ি ওপেনার। শিবম দুবেও অর্ধশতরান করেন। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান তোলে চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ দু বলে ১১ রান প্রয়োজন ছিল। দুটো ছয় মারতে হত। পারলেন না সূয়াশ। তীরে এসে তরী ডুবল। উল্টোদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অধিনায়ক থাকলে যে কোনও টিমের পক্ষেই চাপের পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়ায়। আরসিবিও জিতে মাঠ ছাড়তে পারল না। টিমের চারটে ক্যাচ মিস। তবে দুটো হাই ক্যাচ নিয়ে ডুপ্লেসি এবং ম্যাক্সওয়েলকে ফেরানোই পার্থক্য গড়ে দিলেন ধোনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 5 =