শীত পড়ার আগেই সমস্যা শুরু? ত্বক রুক্ষ হওয়ার পাশাপাশি শুরু হয়েছে খুসকির সমস্যা? চুল উঠছে গোছা গোছা? তাহলে বাজার চলতি নামী-দামি শ্যাম্পু ছেড়ে ভরসা করুন আয়ুর্বেদেই। আমলকি হতে পারে আপনার সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি।
আমলকি-ছোট্ট এই ফলের গুণ জানলে চোখ কপালে উঠতেই পারে। আমলকিতে আছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন ও খনিজ। যা চুলে পু্ষ্টি জোগায়, চুলের গোড়া শক্ত করার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আমলকিতে ৮১.২ শতাংশ ময়শ্চার আছে। তাই রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে এই আমলকি বেশ কার্যকরী।
স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখার জন্য এই আমলকির রস বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা ধরে রাখে। স্ক্যাল্পে পুষ্টির জোগান দেয়। চুলের গোড়া মজবুত করে। চুলে ফেরায় প্রাকৃতিক জেল্লা।রিঠা ও শিকাকাইয়ের সঙ্গে আমলকি ব্যবহারে চুল হবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল।
রিঠা, আমলা, শিকাকাই-আমলকিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড। এর সঙ্গে রিঠা ও শিকাকাই মিশিয়ে আপনি হেয়ারপ্যাক তৈরি করতে পারেন। এটি আপনার চুল মজবুত রাখতে সাহায্য করে। প্রত্যেক উপকরণ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। সেটি স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। তা আপনার হেয়ার ফলিকলকে মজবুত করবে।
আমলকির রস-আমলা কুঁচিয়ে থেঁতো করে রস বার করে নিন।। তারপর সেই রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে।এরসঙ্গে টক দই ও নারকেল তেল মিশিয়ে প্যাকও বানাতে পারেন।
আমলকি ও কারিপাতা-কারিপাতা চুলের জন্য খুবই ভালো। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, সি আছে। এছাড়াও ফাইবার, অ্যামিনো অ্যাসিড-ও আছে। অন্যান্য প্রোটিন আছে। তা আপনার চুলকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। চুল সহজেই পাতলা হয়ে যায় না। চুল পড়া কমে যায়। আমলকির গুঁড়ো নিন। তার সঙ্গে কয়েকটি কারি পাতা মিশিয়ে দিন। সামান্য পরিমাণে জল মেশান। ব্লেন্ড করে নিন। একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি হবে। সেটি আপনার স্ক্যাল্প ও চুলে ভালো করে লাগিয়ে নেবেন। সপ্তাহে দুবার লাগাতে পারেন। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।