দু’টি দলের মধ্যে নামে ও দামে বিস্তর ফারাক৷ বিরাট কোহলি, ডুপ্লেসির মতো খেলোয়াড়রা ছিল৷ টসেও জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর৷ রান তাড়া করাটাকে সঠিক মনে করে নাইটদের ব্যাটিং দিল৷ প্রথম দিকেই বেশ কয়েকটা উইকেট নিয়ে নাইটদের ব্যাটিংয়ের ভিত বেশ নড়বড়ে করে দিল৷ কিন্তু জেদ আর ইচ্ছা যে মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, তার উদাহরণ হয়ে রইল আজকের ইডেন৷ কিং খানের ইডেনে উপস্থিতিও নাইটদের হয়তো উজ্জীবিত করেছিল৷ তাই যখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সমর্থকরা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন যে, আগের ম্যাচের মত আজও পরাজয় অবশ্যম্ভাবী৷ ঠিক তখনই বিরাট ভক্ত শার্দুল ঠাকুর ইডেনকে শান্ত করে দিয়ে স্রেফ ২৯ বলে ৬৮ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে দিলেন৷ কেকেআর করল ২০৪ সাত উইকেটে৷ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মরসুমে বিধ্বংসী শুরু করেছিল টানা তিন বার প্লে-অফ খেলা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মঞ্চ প্রস্তুত ছিল বিরাট কোহলির জন্য। সেই মঞ্চে নায়ক শার্দূল ঠাকুর। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভরসা দিলেন। তাঁর তৈরি করা ভিতের ওপর তিন রহস্য স্পিনার। সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয় সূয়াশ শর্মাকে। রান-আপ মিডিয়াম পেসারের মতো, করেন লেগ স্পিন। অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়লেন। টস হারে প্রথম থেকেই চাপে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাটিংয়ে রহমানুল্লা গুরবাজ, রিঙ্কু সিং এবং শার্দূল ঠাকুরের বিধ্বংসী ইনিংস বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করে নাইটদের। বল হাতে তিন স্পিনারের জাদু। ইডেনে বিরাট জয় নাইট রাইডার্সের।