বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে এবার পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার। সঙ্গে কলকাতা পুরসভা চাইছে এক স্বচ্ছ ভাবমূর্তিও আম জনতার কাছে পৌঁছে দিতে। আর তারই ফলশ্রুতি স্বরূপ ভাঙা পড়তে চলেছে যাদবপুরের একেবারে সদ্য তৈরি হওয়া এক পাঁচতলা বিল্ডিং।
সূত্রে খবর, ৬/২৫ পোদ্দার নগর রোড ,যাদবপুরে রয়েছে নতুন এই পাঁচ তলা বিল্ডিং। ওই বিল্ডিংয়ের সামনের দিকটা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য,পেছনের দিকটা বসবাসের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে এই বিল্ডিং তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলেও এখনও বেশ কিছু কাজ চলছে বিল্ডিংয়ের ভিতরে। এদিকে এরই মধ্যে কলকাতা পুরসভা থেকে নির্দেশ এসেছে বিল্ডিংটি ভেঙে দেওয়ার জন্য।
এর কারণ খুঁজতে গিয়ে যে তথ্য সামনে আসছে তা হল, আদতে ওই তিন কাঠা প্লটটির আসল মালিক ছিলেন মীরা বিশ্বাস। রাজ্য সরকার থেকে রিফিউজি জমি পান তিনি। মীরা বিশ্বাস মারা যাওয়ার পর, ওই জায়গাটির দখল নেয় অনিতা ঘোষ। সেই অনিতা ঘোষ নিশীথ দত্ত,কমল গায়েন এবং সবিতা চট্টোপাধ্যায় এই তিনজনকে প্রমোটিং করতে দেয়। এদিকে এই প্রোমোটিংয়ের না আছে বৈধ প্ল্যান, না আছে কর্পোরেশনের কোন বৈধ অনুমতি। পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, ওঙ্কার নাথ জয়সওয়াল বিল্ডিং নির্মাণের পেছনে বিনিয়োগ করেছেন। সেই ওঙ্কারনাথ জয়সওয়াল সামনের তিনটি অবৈধ ফ্লোর কিনে নেন। তাতে তিনি বর্তমানে ভাড়াও বসিয়েছেন। এক্ষেত্রে ওঙ্কারনাথের কাছে রয়েছে প্রোমোটারের সঙ্গে চুক্তি পত্র এবং দখলের চিঠিও। এদিকে প্রোমোটার নিশীথ দত্ত জানান, অনিতা ঘোষ ২০২১ সালে ওই জমিটি কর্পোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী নিজের নামে আলিপুর থেকে রেজিস্ট্রি করিয়েছেন। এদিকে মীরা বিশ্বাসের আত্মীয় নন অনিতা। মীরা বিশ্বাস তাঁকে উইল করে দিয়ে যাননি কিংবা দানপত্রও করেননি বলেই জানা যাচ্ছে। আর এখানে সামনে আসছে এক নয়া তথ্য। যেহেতু মীরা বিশ্বাসকে দেখভাল করতেন অনিতা ঘোষ এবং তাঁর বাড়িতেই থাকতেন সেই কারণে কলকাতা কর্পোরেশন অনিতা ঘোষের নামেই করে দিয়েছে ৬/২৫ ঠিকানার জমিটি। এদিকে অনিতা ঘোষের খোঁজ মিলছে না। অনিতা ঘোষ সম্পর্কে মুখে কুলুপ প্রোমোটারদেরও।
এদিকে কর্পোরেশন ওই অবৈধ প্রমোটিংয়ের বিরুদ্ধে বাড়িটি ভাঙার আদেশ সম্পর্কে স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাস জানান, ‘কর্পোরেশনের আইনে যা রয়েছে সেটাই হবে। প্রমোটিং সংক্রান্ত ব্যাপারে কাউন্সিলরদের কোন ভূমিকা থাকে না।’