কলকাতা : বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটির বদলে দু’দিন ছুটির নোটিস জারি করে শো কজের চিঠি পেয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের চিফ ম্যানেজার সিদ্ধার্থশঙ্কর ধাড়া। শো কজের জবাব দিতে না পারায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নির্দেশিকার পরে পুরসভার আধিকারিকদের একাংশ ক্ষুব্ধ। প্রকাশ্যে তাঁরা অভিযোগ না জানালেও আড়ালে কেউ কেউ জানিয়েছেন, নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের স্বাধীনতা কমল।
বস্তুত, বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বিতর্কে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় চক্রান্তের অভিযোগ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ঠিক পরেই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তার মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈন। পুর কমিশনারে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এ বার নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আবশ্যিক। যদি কোনও আধিকারিক এই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেন, সে ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুর-আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা কাজ করার সময় স্বাভাবিক ভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। এখন প্রতিটি বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের অনুমোদন নিতে হলে প্রশাসনিক কাজকর্মে গতি কমে যাবে।’’ কলকাতা পুরসভার স্কুলগুলিতে বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি দু’দিন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। সেখান থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। তবে পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাঁরা ওই নোটিস সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। নোটিসটি বাতিলও করা হয়েছে বলে বিবৃতি দেন পুর কমিশনার ধবল।
অন্য দিকে, ছুটি-বিতর্কের মধ্যে পুরসভার শিক্ষা বিভাগের চিফ ম্যানেজারকে শো কজ করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তিনি উত্তর-না দেওয়ায় তাঁকে সাসপেন্ডের চিঠি দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার। পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, কারও সঙ্গে আলোচনা না করে ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন সিদ্ধার্থবাবু। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুরসভার ওই অফিসার ইচ্ছাকৃত ভাবে এই নির্দেশ জারি করেছিলেন। এটা এক ধরনের বদমায়েশি।”