চোট মুক্ত হয়ে ফেরার পর থেকেই কেএল রাহুলকে চেনা ছন্দে খুব একটা দেখা যায়নি। এশিয়া কাপ হোক ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ ফর্ম ওঠা-নামা করেছে টিম ইন্ডিয়ায় রোহিত শর্মার ডেপুটির। কেএল রাহুলের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মহল থেকে নেট দুনিয়ায় কাটাছেড়া কম হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি২০ ম্যাচে তিরুবন্তপুরমের ঘাসে ভরা সবুজ উইেকেটে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন রাহুল। ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
তবে টি২০ ক্রিকেটে ৫১ রানের ইনিংস খেলতে কেএল রাহুল নেন ৫৬ বল। যা ক্রিকেটের সবথেকে ছোট ফর্ম্যাটের সঙ্গে বেমানান। এই ইনিংসের সৌজন্য ভারতীয় দল জিতল, রানে ফিরলেন দলের সহ অধিনায়ক। কিন্তু তারপরও রাহুলের ঝুলিতে যোগ এল একাধিক লজ্জার রেকর্ড। বুধবার তিরুবন্তপুরমে কেএল রাহুলের ৫৬ বলে ৫১ রানের ইনিংস যে একাধিক লজ্জার রেকর্ড গড়ল তারমধ্যে অন্যতম হল, কোনও টেস্ট জয়ী দেশের প্লেয়ারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে মন্থর হাফসেঞ্চুরি।
এছাড়া এর আগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে টি২০ ক্রিকেটে সবথেকে বেশি বল খেলে অর্ধশতরান করার রেকর্ড ছিল গৌতম গম্ভীরের নামে। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরদ্ধে ৫৪ বলে ৫০ রান করেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার। যেই রেকর্ড এতদিন অক্ষত ছিল। এবার গৌতম গম্ভীরের জায়গায় লজ্জার রেকর্ডে নিজের নাম নথিভু্ক্ত করলেন কেএল রাহুল। তবে দলের জয়ে খুশি ভারতের সহ অধিনায়ক। তিরুবন্তপুরমের সম্পূর্ণ সবুজ উইকেটে কঠিন পরিস্থিতিতে রানে ফিরে খুশি কেএল রাহুল।
প্রসঙ্গত, প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। পেস বোলার জন্য স্বর্গীয় উইকেটে আগুন ঝরান ভারতীয় পেসাররা। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৬ রান করে টেম্বা বাভুমার দল। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন অর্শদীপ সিং। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন দীপক চাহার ও হার্শল প্যাটেল এবং একটি উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল। রান তাড়া করতে নেমে ১৭ রানের মধ্যেই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির উইকেট হারায় ভারত। সেখান দলের ইনিংসের রাশ ধররেন কেএল রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব। ৯৩ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন। রাহুল ৫১ ও সূর্যকুমার ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন।