এবারের আইপিএলে আম্পায়ারিংয়ের মান খুবই খারাপ। ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা অন্তত এমনটাই বলছে। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত অনেক ভুগতে হয়েছে বেশ কয়েকটি দলকে, যে কারণে বিতর্কও হয়েছে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মধ্যে এলিমিনেটর ম্যাচেও আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত। নো-বল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে লখনউ অধিনায়ক কেএল রাহুল এবং ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার সঙ্গে আম্পায়ারের তর্ক হয়ে এক প্রস্ত।
এর আগে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রাজস্থান রয়্যালসের মধ্যে লিগ ম্যাচে নো বল নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। ইডেনে আরসিবি ইনিংসের ১২ তম ওভারে দুষ্মন্ত চামিরার প্রথম বলটি আম্পায়ারের মতে কোমরের উপরে ছিল, যা তিনি নো বল দেন। যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন অধিনায়ক রাহুল। আম্পায়ার মাইকেল গফ, স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে নো বল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর নন-স্ট্রাইকারে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গী জে মদনগোপাল নো বলের সঙ্কেত দেন। লখনউ অলরাউন্ডার ক্রুনাল পাণ্ডিয়াকে প্রথমে মদনগোপালের সামনে দাঁড়িয়ে মাথা নাড়তে দেখা যায়, এরপরে রাহুলও সেখানে পৌঁছে যান।
আম্পায়ার মদনগোপাল খেলোয়াড়দের বোঝাচ্ছিলেন যে নো-বল দেওয়ার কারণ। তারপর গফ তার অবস্থান থেকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এটি তার কল ছিল। এরপর রাহুল গফকে প্রশ্ন করছিলেন, “এটা কি থার্ড আম্পায়ারের কাছে পাঠানো যাবে না।” লখনউয়ের ডাগআউটে উপস্থিত কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এবং বাকিরা হতাশ ছিলেন আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে। তবে নো বল লখনউয়ের জন্য বিশেষ ক্ষতি করেনি। কারণ আরসিবি ব্যাটসম্যান মহিপাল লোমহর ফ্রি হিটে কোনও রান করতে পারেননি। এই মরশুমের শুরুতে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ এবং শার্দুল ঠাকুরকে জরিমানা করা হয়েছিল। দিল্লির সহকারী কোচ প্রভিন আম্রেকে নো-বলের প্রতিবাদের জন্য এক ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার ক্রুণাল ও রাহুলও শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন।