যেনতেন প্রকারেণ হারালে চলবে না। কেএল রাহুলের লখনউ সুপার জায়ান্টসকে আজ হারাতে হবে বড় ব্যবধানে। ম্যাচ জেতার সঙ্গে যতটা সম্ভব বাড়িয়ে রাখতে হবে নেট রান রেট। কী করা যাবে, উপায় নেই যে! চোদ্দো পয়েন্টে যদি বা প্লে অফের একটা স্পটের নির্ধারণ হয়ও, তা হলেও কেকেআর যে ড্যাং ড্যাং করে সেই ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলবে, ভাবার কোনও কারণ নেই। চোদ্দো পয়েন্টে প্লে অফ স্পট ঠিক হলেও দিল্লি ক্যাপিটালসের নেট রান রেটকে পিছনে ফেলতে হবে নাইটদের, তবেই থাকবে একমাত্র আশা। নইলে সব শেষ।
তবুও অঙ্কের বিচারে প্লে-অফের সামান্যতম সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে গেলে বুধবার লখনউ সুপার জায়ান্টসকে বড় ব্যবধানে হারাতেই হবে নাইটদের। অবশ্য লোকেশ রাহুলের দলও জিততে মরিয়া। তাদেরও প্রথম দুই দলের মধ্যে জায়গা নিশ্চিত করার তাগিদ রয়েছে। ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট লখনউয়ের। শেষ দুই ম্যাচে হেরে শীর্ষস্থান থেকে নেমে এসেছে তৃতীয় স্থানে। তবে প্লে-অফে কার্যত জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। অন্যদিকে, সমসংখ্যক ম্যাচে কলকাতার পয়েন্ট ১২। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন শ্রেয়সরা।
ওয়াংখেড়েতে বুধবার জিতলেও ১৪ পয়েন্টে আটকে থাকতে হবে নাইটদের। ফলে, ইডেনে বেগুনি জার্সিধারীদের প্লে-অফে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে অবশ্য লখনউয়ের চেয়ে স্বস্তিতে কলকাতা। গত বছরের ফাইনালিস্ট শেষ দুই ম্যাচে যথাক্রমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছে।
অন্যদিকে, লখনউ পর পর হেরেছে গুজরাত টাইটান্স ও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। ফলে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবে কেকেআর। অন্যদিকে, টানা হারের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ লখনউয়ের সামনে। চোটের জন্য প্যাট কামিন্সের পর অজিঙ্কা রাহানে ছিটকে যাওয়ায় নাইটদের প্রথম এগারোয় বদল হবেই। কলকাতার ব্যাটিং নির্ভর করছে অধিনায়ক শ্রেয়স, নীতীশ রানা, আন্দ্রে রাসেলের উপর। চিন্তায় রাখছে ওপেনার বেঙ্কটেশ আয়ারের ফর্ম। পেস বোলিংয়ে উমেশ যাদব, টিম সাউদি অবশ্য ভরসা দিচ্ছেন। ডেথ ওভারে উইকেট নিচ্ছেন রাসেলও। শেষ লগ্নে এসে স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকেও ছন্দে দেখাচ্ছে। সুনীল নারিন যথারীতি কৃপণই থাকছেন। সব মিলিয়ে কলকাতার বোলিং ওজনদার। কিন্তু, ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাবই উদ্বেগে রাখছে সমর্থকদের।