অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। এ বারের আইপিএলে আপাতত সেরা ম্যাচ দেখলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। ২৩৯ রানের টার্গেট তাড়ায় কোনও টিম মাত্র ৪ রানে হারছে! এর থেকেই বোঝা যায়, ম্যাচ কতটা রুদ্ধশ্বাস হয়েছে। যদিও হার-এর দিকে থাকতে হল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। ব্য়াটিং অর্ডার নমনীয় করতে নানা বদল। এতেই যেন খেই হারায় কেকেআর। নয়তো শুরু আর শেষটা একরাশ আক্ষেপ দিয়ে গেল। মাত্র ৪ রান! এর চেয়ে বড় আক্ষেপ আর কী হতে পারে!
শেষ ওভারে ২৪ রান প্রয়োজন ছিল। যদিও স্ট্রাইকে হর্ষিত রান। উল্টোদিকে রিঙ্কু। ম্যাচ এত ক্লোজ হবে সেটাই যেন শেষ দিকে কেউ প্রত্যাশা করতে পারেননি। অবিশ্বাস্য একটা জয় হতে পারত কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য। ২৩৯ রানের টার্গেট। আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়ার সামনে ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মিডল অর্ডারে বিপর্যয় না হলে এই ম্যাচ জেতা কার্যত নিশ্চিত ছিল। মাত্র ৪ রানে পিছিয়ে পড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ইডেনে যেন ব্যাটারদের জন্য স্বর্গ তৈরি হয়েছিল। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেন লখনউ ব্যাটাররা। গতির হেরফেরে কিছুক্ষেত্রে পরাস্থ হয়েছেন। বোর্ডে ২৩৯ রানের টার্গেট সেট করতেই প্রমাদ গুণছিলেন কেকেআর সমর্থকরা। একই স্টাইলে ব্যাটিং নাইট রাইডার্সেরও। ব্যাটিং অর্ডারে বদল আদৌ প্রয়োজন ছিল কি না এই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ধারাবাহিক ভালো খেলা অংক্রিশকে লোয়ার অর্ডারে পাঠানো হয়। প্রোমোশন দেওয়া হয় নমন ধিরকে।
রাহানে যতক্ষণ ব্যাট করছিলেন, মনে হয়েছিল কেকেআরের রেকর্ড জয় সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ১৬২ রানে রাহানে আউট হতেই বিপর্যয়। দ্রুতই ১৮৫-৭ হয়ে যায় কেকেআর। কিন্তু রিঙ্কু সিং আবারও মহাকাব্যিক জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সুযোগটা সীমিত। ফলে সীমানাও পেরনো হল না। ২৩৮ এর জবাবে ২৩৪! কেকেআর বনাম লখনউ ম্যাচে এটিই সেরা এগ্রিগেট।