দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ঘরের মাঠে গত ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমেছিল কেকেআর। মাত্র ৪ রানে হার। তা থেকে ঘুরে দাঁড়ালেন রাহানেরা। চেন্নাই দুর্গে বিশাল জয়। সব মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে হার। ঘরের মাঠে হারের হ্যাটট্রিক। ক্যাপ্টেন হিসেবে ধোনির প্রত্যাবর্তন ম্যাচে চেন্নাই শিবিরে একরাশ হতাশা। ব্যাট হাতে রান আসেনি মাহির, তার উপর ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হার চেন্নাই সুপার কিংসের। বড় জয়ে ছয় থেকে তিনে উঠে এল নাইট রাইডার্স।
কনুইয়ে চোটের কারণে মরসুমের বাকি সময় থেকে ছিটকে গিয়েছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। কেকেআরের বিরুদ্ধে নামার আগের দিনই ঘোষণা করেছিল সিএসকে। নাইটদের বিরুদ্ধে ক্যাপ্টেন্সিতে ফিরেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাতেও অবশ্য দলের পরিস্থিতি বদলাল না। সিএসকের প্রাক্তনী তথা কেকেআর ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর কেকেআর বোলারদের কামাল। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট। সুনীল নারিন নেন তিন উইকেট। ঘরের ছেলে বরুণের ঝুলিতে ২ উইকেট। সিএসকের প্রাক্তনী মইন ১ উইকেট নেন। দুই পেসারও উইকেট নিয়েছেন। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১০৩ রান করে চেন্নাই।
বোর্ডে মাত্র ১০৪ রানের টার্গেট। কেকেআরের লক্ষ্য ছিল দ্রুত ম্যাচ শেষ করে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া। সুনীল নারিন ও কুইন্টন ডিককের ওপেনিং জুটি এ মরসুমে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। এই ম্যাচে অবশ্য বিধ্বংসী শুরু। কেকেআর যেন ১০ ওভারের টার্গেট নিয়ে নেমেছিল। কুইন্টনকে ফেরান সিএসকে-র একে-৪৭ অংশুল কম্বোজ। সুনীল নারিন মাত্র ১৮ বলে ৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। দুই ওপেনারকে ফেরালেও রাহানে ও রিঙ্কু ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। যদিও ১০ ওভারে হয়নি। এক বল বেশি লেগেছে!